1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে সংরক্ষিত ৪৮ নারী এমপি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ মার্চ ২০১৪

দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন৷ মানোনয়ন-পত্র বাতিল হয়েছে দু’জনের৷ এই নারী সাংসদদের মধ্যে ২৪ ভাগই নাকি কোটিপতি, জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা ‘সুজন’৷

https://p.dw.com/p/1BSUG
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka Nachtaufnahme
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo

বাংলাদেশের সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন মোট ৫০টি৷ এঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩৮, জাতীয় পার্টির ৫, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির দুই এবং স্বতন্ত্র জোটের তিনজন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন৷ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির একজন করে মোট দু'জন প্রার্থীর মনোনয়ন-পত্র বাতিল হয়েছে৷ পরে এই দুটি পদের জন্য নির্বাচন হবে৷

ওদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন জানিয়েছে, এই সংরক্ষিত নারী সাংসদদের মধ্যে ২৪ শতাংশ কোটিপতি এবং ২৬ শতাংশ ব্যবসায়ী৷ সুজন নির্বাচন কমিশনে দেয়া তাদের সম্পদের হিসাব থেকে এই তথ্য বের করেছে৷ তাদের দাবি, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের বড় একটা অংশ আত্মীয়তার সূত্রে মনোনয়ন পেয়েছেন৷ অতীতে রাজনীতি করেননি এমন নয়জনও এমপি হয়েছেন৷ সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের ভেতরে সত্যিকার গণতন্ত্র থাকলে এ সব নারীরা সংসদে আসতে পারতেন না৷ দল যে প্রক্রিয়ায় নারীদের মনোনয়ন দেয়, সেটা একেবারেই স্বচ্ছ নয়৷''

নারী নেত্রী ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘দুটো কারণে সংসদে সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে৷ প্রথমত, সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেহেতু প্রতিযোগিতায় এখনও নারীরা সক্ষমতা অর্জন করেননি, তাই সংসদে নারীদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীদের স্বার্থ রক্ষায় নারী এমপিরা কথা বলবেন – এ কথা ভেবেও দেয়া হয়েছে এ সুযোগ৷ কিন্তু আমি মনে করি, এ সব কোটিপতি নারীরা কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীদের স্বার্থ রক্ষা করে না৷ আসলে সংরক্ষিত নারী এমপি নির্বাচনের পদ্ধতিটাই ত্রুটিপূর্ণ৷'' তিনি বলেন, ‘‘টাকার জোরে যাঁরা সংসদে ঢোকেন, তাঁরা আরও বেশি টাকা কামাই করতে চান৷ হয়ত আগামীতে দেখা যাবে যে, তাঁদের সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে৷''

তাই ফরিদা আখতারের মতে, ‘‘আগামী আর ২/১ টার্ম পরে সংরক্ষিত আসন উঠিয়ে দিয়ে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত৷''

তবে সাবেক নারী সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিল বলেন, ‘‘সুজন বরাবরই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে আওয়ামী লীগকে হেয় করার জন্য এ ধরনের রিপোর্ট করে থাকে৷ আওয়ামী লীগ যেসব নারীকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাঁরা সবাই তৃণমূলের৷ এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের উন্নয়নের জন্য তাঁরা কাজ করে থাকেন৷ এছাড়া নারীদের সম্পদ থাকাটা অপরাধ নয়৷''

তিনি বলেন, ‘‘সুজন-এর এই রিপোর্ট নারীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মনে করি৷ এটা নারী সমাজকে হেয় করেছে৷'' জানা গেছে, কয়েকদিনের মধ্যেই এই নারী সংসদ সদস্যদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য