এসপিডি দলে সংকট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮সদস্যসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেলেও রেকর্ড হারে জনসমর্থন হারাচ্ছে জার্মানির এসপিডি দল৷ সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী মাত্র ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ এখনো এই দলের প্রতি আস্থা রাখে৷ প্রস্তাবিত সরকারের শরিক দল হিসেবে এসপিডির এমন ভরাডুবি গভীর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ কোয়ালিশন চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির ঠিক আগে নেতৃত্বে আচমকা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দলটি৷ দলের বামপন্থিরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে৷ এই অবস্থায় জার্মানিতে স্থিতিশীল সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে৷
মঙ্গলবারই এসপিডি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসছে৷ শীর্ষ নেতা হিসেবে মার্টিন শুলৎস সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা ভরাট করতে আপাতত দলের নারী নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেসকেই কার্যনির্বাহী সভাপতি নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে তিনিই হবেন দলের প্রথম নারী নেত্রী৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন দলের আরেক নারী নেত্রী৷ ফলে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠতে পারে৷
আগামী ৪ঠা মার্চ সরকারে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে সদস্যদের রায় জানা যাবে৷ তার আগে পর্যন্ত সেই বিষয়টি নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন মহাজোটের প্রবক্তা ও বিরোধীরা৷ দলীয় কাঠামোর আমূল সংস্কার নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী ডিসেম্বর মাসে দলীয় সম্মেলন পর্যন্ত মূলতুবি রাখতে চান শীর্ষ নেতারা৷
এতটা নাটকীয় না হলেও জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ইউনিয়ন শিবিরও জনসমর্থন হারাচ্ছে৷ সিডিইউ ও সিএসইউ দলের প্রতি মাত্র ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ এখনো আস্থা রাখেন৷ ফলে আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি সিডিইউ দলের সম্মেলনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ দলের নেতৃত্ব আরও চাপের মুখে পড়তে চলেছে৷ অর্থমন্ত্রীর পদ হাতছাড়া হওয়ায় দলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও কোয়ালিশন চুক্তি অনুমোদন করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ সরকার গঠন করা সম্ভব হলে ম্যার্কেল মন্ত্রিসভায় তরুণ প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দেবার অঙ্গীকার করেছেন৷ দলের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরাও সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন৷
এই প্রেক্ষাপটে নতুন নির্বাচন হলে জার্মানির দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবির অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে জার্মানিতে রাজনৈতিক সমীকরণ আমূল বদলে যেতে পারে৷