সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র
২০ মার্চ ২০১২রাষ্ট্রপতি ভাষণে উল্লেখিত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র সংক্ষেপে এনসিটিসি ইস্যুতে বিজেপি ও বাম দলের আনা সংশোধনী আজ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাতে খারিজ হয়ে যায় বিপক্ষে ১০৫ এবং পক্ষে ৮২ ভোটে৷ ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷ কিন্ত মুলায়েম সিং-এর সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির ভোটে এযাত্রায় উতরে গেলেন মনমোহন সিং সরকার৷
রাজনীতিতে ভোল পালটাতে সময় লাগেনা৷ জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র সংক্ষেপে এনসিটিসি ইস্যু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সবথেকে বেশি সোচ্চার ছিল এই যুক্তিতে যে, এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করা হবে৷ রাজ্য সরকারের ক্ষমতা খর্ব করা হবে কাজেই তা মেনে নেয়া যায়না৷ সেই তৃণমূল আজ লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও সরকারের বিপক্ষে না গিয়ে ভোটদানে বিরত থাকে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
সন্ত্রাস দমনে এনসিটিসি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, সন্ত্রাস ও বাম উগ্রবাদের মোকাবিলা করতে এক সমন্বিত কৌশল জরুরি৷ ওড়িষায় হালে বাম উগ্রবাদীদের হাতে পণবন্দি দুজন ইতালীয় পর্যটকের উল্লেখ কোরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় দেশের নিরাপত্তা কতোটা বিপন্ন যদি না আমরা সতর্ক থাকি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই৷
এনসিটিসি কার্যকর হলে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব হবে বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন কোরে তিনি বলেন, পরবর্তি পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১৬ই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে৷
এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীপক্ষ৷ বিজেপি'র অরুণ জেটলির বক্তব্য, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়৷ জাতীয় সন্ত্রাস দমন সংস্থা কোনো রাজ্যে অভিযান চালাবার আগে রাজ্য সরকারকে তা জানাতে হবে, অনুমতি হবে৷ তা সে গ্রেপ্তারি হোক বা তল্লাসি৷ আন্তঃসীমান্ত হোক বা আন্তঃরাজ্য হোক৷ প্রধানমন্ত্রী যদি দ্ব্যর্থহীনভাবে সংসদে আশ্বাস দেন, তাহলে রাজ্যগুলির তরফে সহযোগিতার অভাব হবেনা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ