‘সব সময় সততার সঙ্গে ব্যবসা করা সম্ভব না'
১৫ মে ২০২০ডয়চে ভেলের ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর কোনো দেশই পারফেক্ট নয়৷ আমি যদি বলি আমি ডান-বাম করছি না, তাহলে রমজানের দিনে আরো বেশি গুনাহ কামানো হবে৷ আমি মনে করি বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে ডান-বামের প্রয়োজনীয়তা তত কম হচ্ছে৷
‘‘আমি বাঙালি, বাংলাদেশে ব্যবসার যেকোন প্রতিকূলতা আমি মোকাবিলা করতে সক্ষম ৷ কারণ আমি এই দেশেরই মানুষ এবং আমি এই দেশেই বড় হয়েছি৷’’
অনুষ্ঠানের আরেক আলোচক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এবিবি-র চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার দেশে করোনা ভাইরাস সংকটের সময় ব্যাংকের কার্যক্রম ও ভূমিকার নানা দিক তুলে ধরেন৷
তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতি সচল রাখতে হলে আপনাকে ব্যাংক খোলা রাখতেই হবে৷ ব্যাংক এখন জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে৷ সাধারণ ছুটির মধ্যে আমরা আমাদের ৫০ শতাংশ ব্রাঞ্চ খোলা রেখেছি৷ যেহেতু সীমিত আকারে খোলা, তাই এখন আমাদের সক্ষমতার ৪০ শতাংশ কাজ হচ্ছে৷
‘‘আগামী ৩০ মের পর যদি ছুটি আর না বাড়ে এবং ধরে নেই, ১ জুন থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়ে যাবে, তবে আমাদের কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে৷ তখন হয়ত সক্ষমতার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ হবে৷’’
সরকার ঘোষিত প্রণোদনা নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি৷
বাংলাদেশে ব্যবসা এবং ব্যাংক ওতপ্রোভাবে জড়িত বলে স্বীকার করেন দুই বক্তা৷ আহসান খান বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিংখাত ব্যবসাবান্ধব৷ অন্যদিকে আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘‘ব্যাংকগুলো স্ট্যাবল ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে চায়৷''
ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কম চান আহসান খান৷ তিনিও মনে করেন, সুদের হার চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত৷ আমানতে সুদের হার কমে গেলে ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে সুদার হার কমিয়ে আনতে পারবে৷
এ বিষয়ে আহসান খান বলেন, ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমাতে গেলে আমানতে সুদের হার কমে যাবে৷ তবে আমানতের সুদের হার খুব বেশি কমে গেলে এর উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী অসুবিধায় পড়ে যাবে৷ আবার সুদের হার মুদ্রাস্ফ্রীতির চেয়ে কম হলেও এক বছর পর টাকার মূল্য কমে যাবে৷
‘‘ তাই ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্র সুদের হার বেঁধে না দিয়ে বরং বাজারে অর্থের চাহিদা ও জোগানের উপর তা ছেড়ে দেওয়া উচিত৷ ''
এসএনএল/এসিবি