সমর প্রাঙ্গণে সুরের সুধা
১৯ আগস্ট ২০১৩১২ বছর আগে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে বামিয়ান বৌদ্ধ ভাস্কর্য ধ্বংস করার পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সব ধরনের সংগীত, এমনকি জনসমক্ষে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়৷
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের জবাব হিসেবে বৃহস্পতিবারের কনসার্টে শিল্পীদের প্রধান অস্ত্র ছিল গানের কথা বা লিরিক৷ নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫ জন আফগান শিল্পী অংশ নিয়েছিল এতে৷ ১০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানে চমক ছিল ১২ বছরের এক কিশোরীর গান৷
গত তিন দশক ধরে যে গৃহযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশটি৷ তাদের সব ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সুর যেন সেখানে শান্তি আর ঐক্যের বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল৷
স্থানীয় দারি ভাষায় দেশের দুর্দশার কথা গানের ফাঁকে ফাঁকে তুলে ধরছিলেন দুজন শিল্পী৷ এমনকি হিপহপ আর পপ মিউজিকের তালে ব্রেক ড্যান্সও করেছে তরুণদের একটি দল৷
বামিয়ান এলাকাটি তালেবান সহিংসতা থেকে মুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি৷ জাতিসংঘের সহায়তায় আন্তর্জাতিক যুব দিবসের আয়োজনে কনসার্টটি করা হয়েছিল দেশের যুবকদের উদ্দেশ্যে৷
জাতিসংঘের আফগানিস্তান বিষয়ক এক কর্মকর্তা ডিপিএ কে জানান, দেশকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলতে যুব সম্প্রদায়ের কী করার আছে তা তুলে ধরাই এ কনসার্টর উদ্দেশ্য৷
শিল্পীরা জানালেন, তাঁরা যাতে এই কনসার্টে অংশ না নেন এ জন্য মোল্লারা তাদের বিরত করার চেষ্টা করছিলেন, বলছিলেন, এ ধরনের কনসার্ট ইসলাম সমর্থন করে না৷
কনসার্টের অন্যতম সংগঠক রাওইল সিং জানালেন, তারা মোল্লাদের বলেছিলেন, জনগণই ঠিক করবে তারা কনসার্টে আসবে কিনা৷
আফগান শিল্পী আরিয়ানা সাঈদ জানালেন, মোল্লাদের হুমকির কারণে কনসার্ট ঠিক মত হবে কিনা তা নিয়ে তার সংশয় ছিল৷ কিন্তু দর্শকদের সাড়া পেয়ে তিনি অভিভূত৷
সাঈদি এখনকার যুব সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়৷ বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে গাওয়া তার একটি গান মোল্লাদের নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় জবাব ছিল৷
এপিবি / এসবি (ডিপিএ)