ইয়ট খুঁজে পেল বিমান
২০ অক্টোবর ২০১২এয়ার ক্যানাডার যাত্রীবাহী বিমান খুঁজে পায় গ্লেন আইকে৷ তাঁর আগে অবশ্য কয়েকদিন সমুদ্রের বুকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ভাসতে হয়েছে তাঁকে৷ ৪৪ বছর বয়সি এই নাবিক এখন সুস্থ আছেন৷ ১২ অক্টোবর আকস্মিক ঢেউয়ের ধাক্কায় গভীর সমুদ্রে চলে যায় তাঁর ইয়টটি৷ এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘বিকটাকৃতির একটা ঢেউ হঠাৎ করেই আঘাত হানে৷ ইয়টটি যখন পানিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল, তখন আমি ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে থেতলে যাই৷''
ইয়ট হচ্ছে এক ধরনের হালকা নৌকা যা বিশেষত প্রতিযোগিতার সময় ব্যবহার করা হয়৷ এই ইয়টে করে একাই সিডনি থেকে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছিলেন আই৷ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এটা অস্বাভাবিক ঘটনা ছিল৷ শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল, বিস্ফোরণ ঘটেছে৷''
দুর্ঘটনার পর আই আবিষ্কার করেন, মাস্তুল ছিঁড়ে গেছে এবং ইয়টে কোনো জ্বালানি তেল নেই৷ এরপর মাস্তুলটি খানিকটা মেরামত করে জরুরি সাহায্যের জন্য সংকেত চালু করেন তিনি৷
এদিকে, গ্লেন আইকে খুঁজতে জোর তৎপরতা শুরু করে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ৷ সাহায্যে এগিয়ে আসে একটি যাত্রীবাহী বিমান৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে ক্যানাডার ভ্যাংকুভারে যাচ্ছিল বিমানটি৷ সেটার পাইলট যাত্রা পথে বিমানটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩৫,০০০ ফুট উপর থেকে পাঁচ হাজার ফুটে নামিয়ে আনেন৷ এরপর চলার পথেই খুঁজতে থাকেন ইয়টটি৷ আর এভাবেই শনাক্ত হন আই৷ এয়ার ক্যানাডার ক্যাপ্টেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন পুরো কাজটি করেছেন যাত্রীদেরকে জানিয়েই৷ এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যখন আমরা ঐ এলাকায় পৌঁছাই, তখন আমি সবাইকে বাইরের দিকে নজর রাখতে বলি৷ যাতে করে কারো চোখে কিছু পড়লে আমরা সেটা জানতে পারি৷''
বিমানটি ডানদিকে বাঁক নিতেই ‘ফার্স্ট অফিসার' ইয়টটি দেখতে পান৷ সিডনি উপকূল থেকে সেটির অবস্থান তখন ২৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে৷
গত বৃহস্পতিবার আবারো তীরে ফিরেছেন গ্লেন আই৷ উদ্ধারকর্মীরা ৪৩ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন৷ আপাতত আর সমুদ্রে ফিরে যেতে চাইছেন না গ্লেন৷ তাঁর মতে, কিছুদিন গাছের তলায় বসে থাকতেই ভালো লাগবে৷ হাজার হোক, ভয় কাটতে সময় তো লাগবেই!
এআই/ডিজি (এএফপি)