1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার গড়তে পারবেন ম্যার্কেল?

১১ ডিসেম্বর ২০১৭

অসম্ভবকে কি সম্ভব করতে পারবেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ মহাজোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে আলোচনা আগেই দুই শিবিরে তর্জনগর্জন পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে৷ এই অবস্থায় ঐকমত্যে আসা কঠিন হবে৷

https://p.dw.com/p/2p7cc
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

জার্মানিতে নির্বাচনের অস্পষ্ট ফলাফলের পর একাধিক বাধা অতিক্রম করে যখন সরকার গঠনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, তখনই আবার নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে৷ গত সপ্তাহেই মহাজোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা স্বীকার করেছে এসপিডি দল, যদিও তারা সংখ্যালঘু সরকারের প্রতি সমর্থন বা নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না৷ ইউনিয়ন শিবিরের উপর চাপ বাড়াতে তারা বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দিয়েছিল৷

চলতি সপ্তাহে বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ হওয়ার কথা৷ এমনকি দ্বিতীয় একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে৷ তার আগে সপ্তাহান্তে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা এসপিডি দলের প্রধান শর্তগুলি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন৷ বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে সার্বজনীন ও বেসরকারি ব্যবস্থার বিভাজন ঘুঁচিয়ে নতুন কাঠামো গড়ে তোলার দাবি মানতে নারাজ সিডিইউ ও সিএসইউ দল৷ ইউরোপীয় যুক্তরাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে এসপিডি দলের স্বপ্নও তাদের পছন্দ নয়৷

এই অবস্থায় ম্যার্কেল গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ একাধিক আন্তর্জাতিক সংকটের মোকাবিলা করতে জার্মানির সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজন৷ কার্যনির্বাহী সরকারের প্রধান হিসেবে এই মুহূর্তে তাঁর হাত-পা বাঁধা৷ দ্রুত মহাজোট সরকার গঠন করে তিনি আবার কাজ শুরু করে দিতে চান৷ সংখ্যালঘু সরকার গড়ে দুর্বলতা রাখতে চান না তিনি৷ নতুন নির্বাচন হলে এএফডি দলের শক্তিবৃদ্ধির আশঙ্কাও তাঁকে দুশ্চিন্তায় রেখেছে৷ অতএব এসিপিডি দল ছাড়া গতি নেই৷

বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটির আগে কোনোরকম অগ্রগতির আশা করা যাচ্ছে না৷ বুধবারের আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে নতুন বছরে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির হবে৷ ফলে আসন্ন ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে ম্যার্কেল বেশ অসহায় অবস্থায় থাকবেন৷ এসপিডি দল যেভাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর অনেক প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দেখাচ্ছে, নিজের শিবির সে সব বিষয়ে সংশয় দেখানোর ফলে ম্যার্কেল অস্বস্তিতে পড়েছেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)