বাংলাদেশের রাজনীতি
২৬ এপ্রিল ২০১২শনিবার পর্যন্ত বিএনপি অপেক্ষা করবে৷ এর মধ্যে ইলিয়াস আলীকে তার পরিবারে কাছে ফিরিয়ে দেয়া না হলে কী করবে বিএনপি? তারা কি আবারো লাগাতার হরতাল দেবে – না অন্য কোন কর্মসূচি দেবে? তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট না হলেও বিএনপি নেতাদের যে কঠোর আন্দোলনের দিকে ঝোঁক, তা বোঝা যায় সহজেই৷ তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছেন৷ কিন্তু আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্চৈঃস্বরে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সম্পাদক ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষায়, ‘রোববার থেকে আন্দোলনের আগুন জ্বলবে দাউ দাউ করে বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তরে৷'
আর আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের সব ধরনের চেষ্টার কথা বললেও বিরোধী দলের সঙ্গে কোন আলোচনায় বসতে নারাজ৷ আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাষায়, ‘বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে যাওয়া৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা৷ তাই বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসা যায়না৷'
এই যখন সরকার আর বিরোধী দলের অবস্থান, তখন স্বাভাবিক কারণেই সংঘাতের রাজনীতি নিয়ে আশঙ্কা জাগে৷ দৈনিক প্রথম আলোর উপ সম্পাদক সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে সরকারকেই প্রথম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে৷ সরকারের অঙ্গগুলোকে কাজ করতে হবে স্বাধীনভাবে৷
তবে বিরোধী দলকেও দায়িত্বশীল হতে হবে৷ তাদের হরতাল সহ আন্দোলনের ইস্যু খুঁজলে চলবেনা৷ প্রকৃত পরিস্থিতি অনুধাবন করে রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন