সরকারি চাকরিতে বেশি অভিবাসী নিয়োগের আহ্বান
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে এখনো ইনস্টিটিউশনাল রেসিজম, অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ বিদ্যমান আছে৷ কেন্দ্রিয়
রীম আলাবালি-রাডোভান বলেন, ‘‘অভিবাসনের বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে আমাদের আরো বেশি বৈচিত্র্য দরকার৷ এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষও অভিবাসীদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আরো সচেতন হবে৷''
জার্মানির রাইনিশে পোস্ট পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জার্মানির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশই অভিবাসী পরিবার থেকে আসা৷ আর তাই পুলিশ, স্কুল এবং জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যের পৌরসভাগুলোতে চাকরির বেলায় এই বিষয়টির প্রতিফলন থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷
তবে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা৷ তার মতে, অভিবাসীদের চাকরিতে নিয়োগ করার বিষয়ে আলাদা কোনো কোটাব্যবস্থা রাখার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন৷
প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ
এদিকে এক গবেষণা বলছে, জার্মান কর্তৃপক্ষের মধ্যে এখনো বর্ণবাদী আচরণ দেখা যায়৷ আর এর ফলে অভিবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার বেলায় নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়৷ সুযোগ-সুবিধার মধ্যে চাকরি পাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার বিষয়মূহও রয়েছে৷
বুধবার প্রকাশিত জার্মানির ডুইসবুর্গ এসেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এই গবেষনায় বলা হয়, জার্মান কর্তৃপক্ষের মধ্যে অভিবাসীদের সাথে আচরণের সময় গৎবাঁধা এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার মতো মানসিকতা বিদ্যমান রযেছে৷
দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তা, যেমন পুলিশ, জব সেন্টারের কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এমন উপসংহারে আসে গবেষণাটি৷
গবেষণার ব্যাখ্যায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের জন্য সুনির্দিষ্ট ওই ব্যক্তির কার্যক্রমকে চিহ্নিত করার পরিবর্তে পুলিশ তাদেরকে নানাভাবে তাদের ধর্ম (মুসলিম), জাতীয়তা (লেবানিজ) ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে থাকে৷
তাছাড়া জার্মান বলতে পারেন না এমন অভিবাসীদের সাহায্য করার বিষয়ে পুলিশের যথেষ্ট সামর্থ্য নেই বলে গবেষণায় উঠে এসেছে ৷
আরআর/এসিবি (ইপিডি)
প্রথম প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ইনফোমাইগ্রেন্টস
অভিবাসী বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস তিনটি প্রধান ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্লাটফর্ম৷ প্লাটফর্মটিতে রয়েছে জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে, ফ্রান্স মিডিয়া মোন্দ, এবং ইটালিয়ান সংবাদ সংস্থা আনসা৷ এই প্রকল্পের সহ-অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন৷