সাঈদীর ফাঁসির রায়
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর বৃহস্পতিবার জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উপস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে এ খবর৷ একাত্তরে পিরোজপুরের মানুষের কাছে ‘দেইল্লা রাজাকার' নামে পরিচিতি পাওয়া সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছিল ট্রাইব্যুনালে৷ অভিযোগগুলোর মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে জানানো হয়৷ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে৷
২০১০ সালে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এ নিয়ে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হলো৷ গত ২১শে জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদকে আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-২৷ ৫ই ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় একই ট্রাইব্যুনালে৷ কিন্তু একাত্তরে ব্যাপক হত্যা, লুটপাট ও ধর্ষণে অংশ নেয়া এই জামায়াত নেতার জন্য এ শাস্তি খুব হালকা মনে হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম৷ শাহবাগে অবস্থান নিয়ে কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি দাবি করতে থাকেন তাঁরা৷ শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বর' এখনো সেই দাবিতে সোচ্চার৷
এদিকে বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী৷ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দেয়ার দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সরাসরি বিরোধিতা করা দলটি৷ কর্মসূচি পালনের সময় দলীয় কর্মী-সমর্থকরা সহিংস কার্যকলাপেও অংশ নিয়েছে৷ ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার রায়ের দিন সারা দেশে হরতাল পালন করে জামায়াতে ইসলামী৷ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগেও একই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়৷ তবে সংবাদ মাধ্যমগুলোর দেয়া খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা পর্যন্ত জামায়াত নেতা-কর্মীদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি৷
এসিবি/ এসবি