1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাকার রায় নিয়ে বিতর্ক

১ অক্টোবর ২০১৩

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৷ ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি প্রমাণিত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/19sAa
ছবি: Farjana K. Godhuly/AFP/Getty Images

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আব্দুর রহিম হারমাছি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘সাকার ফাঁসির রায়ে প্রমাণিত হয়েছে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলে৷ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে অনেকের৷ একটি কথা বলতে চাই, যে দেশে সাকার মতো ‘প্রভাবশালী'-র ফাঁসির রায় হয় সেই দেশকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না৷''

গণজাগরণমঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ফেসবুতে লিখেছেন, ‘‘এ রায় জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করেছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে৷ রায় কার্যকরের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জিত হবে৷''

সামহয়্যার ইন ব্লগে ব্লগার মৃন্ময় ফাঁসির রায়ে আনন্দ প্রকাশ করে জানতে চেয়েছেন কবে সেটা কার্যকর করা হবে৷

এদিকে, ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার সকালে রায় দেয়ার আগেই সোমবার রাতে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে সেটা প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে৷ ‘আমাদের সময়'-এর একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘সাকা চৌধুরীর রায় প্রকাশের আগেই কপি ফাঁস, লিখেছে আইন মন্ত্রণালয়' প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের কার কম্পিউটারের কোন ড্রাইভ থেকে রায়ের ফাইল পাওয়া গেছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে৷

Bangladesch Salauddin Quader Chowdhury Urteil 01.10.2013 Dhaka
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ হওয়ায় উল্লাসছবি: picture-alliance/dpa

এ ব্যাপারে ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুহিন আফরোজ রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা শুনেছি এরকম একটি খবর, রায়ের কপি হাতে আসেনি৷ অনলাইনে প্রকাশিত কপি ও মূল রায়ের কপি দেখতে হবে কতখানি মিল আছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘এটা আইনি লড়াই৷ আগে থেকেই এ বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে৷ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে কিনা এটাই মুখ্য বিষয়৷'' ব্যারিস্টার তুহিন আফরোজের এই মন্তব্যটি নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শেয়ার করেছেন অমি রহমান পিয়াল৷

শরিফুল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘সাকা চৌধুরীরা যে আসলেই অনেক বুদ্ধিমান সেটা আজকে আরেকবার প্রমাণিত হলো৷ আর সেই কারণেই তারা রায়ের কপি ফাঁস হয়ে গেছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর মতো বুদ্ধি বের করেছে৷ সাকার স্ত্রী আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে আজকে কাঁদতে কাঁদতে একটা কপি দেখাইয়া বললেন, শেষের দিকের কিছু অংশ বাদে পুরা রায়ই ফাঁস হয়ে গেছে৷ আরে একটা মামলার রায়ের মূল অংশই তো শেষে থাকে৷ আর বাকি সব কিছুই চাইলে লেখা যায়৷ যারা রায় ফাঁস হয়ে গেছে বলে মিথ্যা প্রচারণায় সন্দেহ প্রকাশ করছেন বা বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের বলছি, ট্রাইবুনালে নিয়মিত যান এমন যে কারো পক্ষেই এ লেখা সম্ভব....কাজেই চাইলেই একটা কপি বানিয়ে বলা যায় রায় ফাঁস হয়েছে৷ সাকা চৌধুরী গং আপনারা ভালো খেলছেন৷ কিন্তু বাংলার মানুষ এত বুদ্ধু নয় যে আপনাদের কথা বিশ্বাস করবে৷ আর যারা আপনাদের কথায় বিশ্বাস করে তারা এমনিতেই বিশ্বাস করবে৷ কারণ তারা সাঈদীকে চাঁদে দেখে৷''

তাঁর এই স্ট্যাটাসের নীচে তৌফিক এলাহি ‘আমাদের সময়'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনটির লিংক দিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমি এই নিউজটা পড়েছি বিচারকরা রায় পড়া শুরু করার সময়....পরে দেখলাম হুবুহু মিলে গেছে৷'' তবে এলাহির এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে শরিফুল হাসান লেখেন, ‘‘রায়ের মূল অংশ সাজা৷ সেখানে কি ছিল, কিভাবে ছিল, বিচারকদের ব্যাখা কি ছিল সেগুলো কিছুই মেলেনি৷ আর তকের্র খাতিরে যদি ধরেই নিই একটা মামলার রায়ের কপি লেখার পর কম্পিউটারে টাইপ করা এবং প্রিন্ট করে আনার ফাঁকে ফাঁসই হয়ে যায় তাতে কি সাকার অপরাধ কমে যায়? কখনোই না৷''

এদিকে সাকার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি শুধু চট্টগ্রাম মহানগরে হরতাল ডাকায় বিএনপিকে ফেসবুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইরেশ যাকের৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য