সার্কাসের জন্য রিকশা ভ্রমণ
১৭ জুলাই ২০১২এমএমসিসি'র এক কর্মকর্তা বলছেন, যারা সার্কাস দেখে তারা আনন্দ পায়৷ আর যেসব শিশু সার্কাসে অংশ নেয় তারা আত্মবিশ্বাসী ও সুশৃঙ্খল হয়ে বেড়ে ওঠে৷
কিন্তু অর্থের অভাবে এমএমসিসি বন্ধ হতে চলেছে৷ তাই তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন ৪১ বছরের ক্যানাডিয়ান আদনান খান এবং তাঁর বান্ধবী ২৫ বছরের জার্মান তরুণী আনিকা স্মেডিং৷
এই দু'জন রিকশা করে কাবুল থেকে ইস্তান্বুলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন৷ এর মাধ্যমে তাঁরা এমএমসিসি'র জন্য তহবিল সংগ্রহ করবেন৷
আদনান গত ১১ তারিখে রিকশা নিয়ে কাবুল থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন৷ এসময় তাঁকে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে চলতে হয়েছে৷ অবশ্য এজন্য পুলিশের সহায়তা নিয়েছেন তিনি৷ আর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক পাড়ি দিতে রিকশাকে তুলে দিয়েছেন ট্রাকে৷ এভাবে প্রায় সপ্তাহ খানেক চলার পর পাকিস্তান সীমান্তে পৌঁছান আদনান৷ এরপর তিনি পেশওয়ার হয়ে ইসলামাবাদ যাবেন৷ সেখানেই অপেক্ষা করছেন স্মেডিং৷ তিনি বিমানে করে কাবুল থেকে ইসলামাবাদ গেছেন৷
আদনান আর স্মেডিং দুই মাসের মধ্যে পাকিস্তান থেকে ইরান হয়ে তুরস্ক পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছেন৷ এসময় তাঁরা বড় বড় শহরে গিয়ে সেখানকার অনাথাশ্রম ও বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে থাকা শিশুদের সঙ্গে দেখা করবেন৷
আদনান বলেন, এমএমসিসি'র জন্য তাঁরা যতটা সম্ভব বেশি বেশি অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করবেন৷
জেডএইচ / ডিজি (এএফপি)