সিরিয়া প্রসঙ্গ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২নিরাপত্তা পরিষদের মতো সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই৷ তারপরও সেখানে নেয়া কোনো পদক্ষেপের একটা গুরুত্ব থেকে যায়৷
সে আশায় সোমবার সাধারণ পরিষদে আলোচনা হবে৷ সৌদি আরব সেখানে একটি নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করবে৷ অবশ্য সেটা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে৷ এতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ এছাড়া সংঘর্ষ বন্ধের জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে৷ কিছুদিন আগে ঠিক এ ধরণেরই একটি প্রস্তাবে রাশিয়া ও চীন ভেটো দিয়েছিল৷
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই সোমবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন৷
এদিকে সিরিয়ায় চলছে সরকারি বাহিনীর নির্যাতন৷ আজ বাবা আমর শহরে সরকার বিরোধী আন্দোলনে মর্টার দিয়ে আঘাত হানা হয়৷ এতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিরোধী সংগঠনগুলো৷ শুক্রবার নিহত হয়েছে ৫২ জন৷ এর মধ্যে ১৬ জন হোমসে৷ আর ১১ জন দামেস্কে৷
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার হিসেবে সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ৷ আর সরকার বলছে, সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে দুই হাজার সদস্য নিহত হয়েছে৷
সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী একটি সামরিক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার ড: ইসা আল-খোলিকে তাঁর বাড়ির কাছে হত্যা করেছে৷ গত বছর মার্চে সিরিয়ায় আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম৷
এদিকে শুক্রবার সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে জোড়া বোমা হামলার জন্য সরকার ও ফ্রি সিরিয়া আর্মি একে অপরকে দোষারোপ করেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী