সিরিয়ায় রাশিয়া আরও সক্রিয় হচ্ছে
১২ অক্টোবর ২০১৫রাশিয়া আসরে নামার আগে সিরিয়ায় পশ্চিমা শক্তি আরব দেশগুলির সঙ্গে আইএস দমন অভিযানেই ব্যস্ত ছিল৷ সেই অভিযান তেমন জোরালো নয় বলে সমালোচকরা অভিযোগ করে এসেছেন৷ রাশিয়াও সেই আইএস দমনের নাম করে সিরিয়ায় তার নিজস্ব স্বাভাবিক অভিযান শুরু করে এখন বাশার আল-আসাদ প্রশাসনকে শক্তিশালী করার কাজকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছে৷
ন্যাটো মনে করে, আসাদের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন সংকট দীর্ঘায়িত করবে৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছেন৷
আসাদ প্রশাসনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে চীনও৷ সিরিয়ার ঐক্য এ অখণ্ডতা রক্ষা ও সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছে সে দেশ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি মনে করেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷
ইউক্রেনের আকাশে মালয়েশিয়ার একটি বিমানের মর্মান্তিক ধ্বংসকাণ্ডের কথা মানুষ ভোলেনি৷ এবার সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলার ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ ইউরোপীয় বিমান-চলাচল সংস্থা বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে৷
অক্সফ্যাম মনে করে, শক্তিশালী দেশগুলি নিজস্ব স্বার্থেই সিরিয়া সংকটে ইন্ধন যোগাচ্ছে৷
সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ