রাসায়নিক বর্জ্য ধ্বংস
১০ জানুয়ারি ২০১৪রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র, অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার্য দ্রব্য বা বর্জ্য ধ্বংস করার ব্যাপারে জার্মানির সহযোগিতা চেয়েছিল৷ জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডের লেয়েন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে জার্মানি পূর্ণ সহযোগিতা দেবে৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডের লেয়েন বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং নিরাপদ প্রযুক্তি আছে বলেই জার্মানির কাছ থেকে এমন প্রত্যাশা করা হয়৷ জার্মানির ভেতরেই সিরিয়ার রাসায়নিক বর্জ্য ধ্বংস করে এ প্রত্যাশা পূরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম কোনো দেশ (ওপিসিডাব্লিউ-র) এ আহ্বানে সাড়া দিতে অস্বীকার করতে পারে না৷'' জার্মানির এই দুই মন্ত্রী জানান, সিরিয়া থেকে রাসায়নিক অস্ত্র বা বর্জ্য এলে সেগুলো ধ্বংস করার কাজে তাঁরা জার্মান সংস্থা জিইকেএ-র সহায়তা নেবে৷
গত সেপ্টেম্বরে দামেস্কে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় কয়েকশ সিরীয় নিহত হওয়ার পর সিরিয়ায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ রাশিয়া আর চীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে শক্ত অবস্থান নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তখন হামলা পরিকল্পনা স্থগিত রাখে৷ সিরিয়াও তখন অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে৷ চুক্তি অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তির রাসায়নিক অস্ত্র বা রসদ জাতিসংঘ এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ সংস্থা (ওপিসিডাব্লিউ)-র পর্যবেক্ষকদের হাতে তুলে দেয়ার কথা৷ খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রথম কিস্তিটি ছাড়তে কিছুটা দেরি হয়েছে৷ গত মঙ্গলবার সিরিয়ার দুটি স্থান থেকে কিছু রাসায়নিক লাতাকিয়া বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ জাতিসংঘ এবং ওপিসিডাব্লিউ-এর পর্যবেক্ষকরা যাচাই করে অনুমোদন দেয়ার পর রাসায়নিকগুলো ডেনমার্কের একটি জাহাজে তোলা হয়৷ আরো রাসায়নিক না আসা পর্যন্ত জাহাজটি সাগরেই থাকবে৷ রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে শেষ কিস্তি সিরিয়া ছাড়ার কথা৷
এসিবি/জেডএইচ (ডিপিএ, এপি, এএফপি, রয়টার্স)