সিরিয়ার শিশুরা ঘরছাড়া
২৩ আগস্ট ২০১৩জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া যু্দ্ধের কারণে এ পর্যন্ত ১০ লক্ষ শিশু দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে৷ এছাড়া দেশেও আছে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে দিশেহারা ২০ লক্ষ শিশু৷ দেশ ছেড়ে শরণার্থীর জীবন মেনে নিতে বাধ্য হওয়া শিশুদের মধ্যে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার শিশুর বয়স ১১ বছরের চেয়েও কম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান অ্যান্থনি লেক সিরীয় ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া শিশুদের দুরবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘এই ১০ লক্ষ শিশু কিন্তু স্রেফ সংখ্যা নয়৷ এটা স্রেফ শিশুদের ঘর, এমনকি হয়ত পরিবার থেকেও উপড়ে ফেলার ঘটনা৷ সব হারিয়ে তারা এখন কতটা আতঙ্কগ্রস্ত তা অনুমান করা কঠিন নয়৷''
কিছু তথ্যেও প্রকাশ পেয়েছে শিশুদের দুর্ভোগের চিত্র৷ সীমানা অতিক্রম করে মূলত লেবানন, জর্ডান, তুরস্ক, ইরাক এবং মিশরে যাচ্ছে সিরীয়রা৷ শিশুদের গন্তব্যও এই দেশগুলোই৷ ইদানীং অবশ্য পূর্ব আফ্রিকা এবং ইউরোপেও সিরীয় শরণার্থী বাড়ছে৷ শরণার্থী শিশুদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য নেই৷ অনেক শিশু আবার পাচার হয়ে যাচ্ছে৷ যৌন নিপীড়ন, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হচ্ছে তারা৷
অন্য দেশে আশ্রিত জীবনে নতুন মুখও আসছে সিরীয় শরণার্থী পরিবারে৷ এমন নবজাতকদের যাতে ‘দেশহীন' পরিচয়ে বড় হতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে তাদের জন্ম নিবন্ধন করাচ্ছে ইউএনএইচসিআর৷ নবজাতকের পরিবারকে ন্যূনতম নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷
এসিবি/ডিজি (এপি)