সিরিয়ায় নিহত দেড় শতাধিক
২৭ অক্টোবর ২০১২মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে ছুটির চারদিন সিরিয়ায় অস্ত্র বিরতি পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন লাখদার ব্রাহিমি৷ তাঁর প্রস্তাবে দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং বিদ্রোহী উভয় পক্ষই সম্মতি দিলেও কার্যত এখনও সিরিয়ায় হামলা ও সহিসংতা অব্যাহত রয়েছে৷ শনিবার রাজধানীর উপকণ্ঠের দুমা এলাকার মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মেদ দুমানি বলেন, ‘‘আজ সকাল সাতটা থেকেই সরকারি সেনারা গোলা হামলা শুরু করেছে৷ আমি এক ঘণ্টায় ১৫টি গোলা দাগানোর শব্দ শুনেছি৷ এতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত দুই জন৷ ফলে অস্ত্র বিরতি শুরুর আগের এবং পরের সময়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পাই না৷''
এছাড়া বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তুর্কি ও সিরীয় সীমান্তবর্তী সিরীয় শহর হারামের কাছে উভয় পক্ষের মধ্যে টানা দুই দিন ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে৷ দির আজ্জুর এবং আলেপ্পো শহরের আবাসিক এলাকাতেও গোলা হামলা হয়েছে৷ আর যুদ্ধ বিমান থেকে এরবিন এবং হারাস্তা এলাকায় বোমা ফেলার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শনিবার দির আজ্জুর এলাকায় একটি গির্জার সামনে এবং লায়লাতি রেস্তোঁরার কাছে গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়েছে৷ এতে অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছে৷ তবে সরকারি সূত্রের দাবি, তাদের ভাষায় ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের' হামলায় গির্জার সামনের ফটক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এই হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে অস্ত্র বিরতির রীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে উল্লেখ করা হয়৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি'র হিসাবে, শনিবার দারা, আলেপ্পো এবং দির আজ্জুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গোলা হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি'র আলেপ্পো অঞ্চলের প্রধান আব্দেল জাব্বার আল-ওকায়দি বলেছেন, ‘‘আমি বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছি এবং সরকারি সেনারা এখনও বোমা হামলা বন্ধ করেনি৷ আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণকে রক্ষা করা৷ আমরা হামলা চালাচ্ছি না৷ কিন্তু এখনও রক্তপাত অব্যাহত থাকার ঘটনা ব্রাহিমির ব্যর্থতা৷ এই উদ্যোগ শুরুর আগেই ভেস্তে গেছে৷''
এএইচ / জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)