সিরিয়ায় নিহত ৪১ জন, ইস্তানবুলে বিরোধীদের বৈঠক
১৬ জুলাই ২০১১জাতীয় সিরীয় ত্রাণ সম্মেলন নাম দিয়ে ইস্তানবুলে বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল৷ যুগপৎ দামেস্ক ও ইস্তানবুলে সম্মেলন হবার কথা ছিল৷ কিন্তু শুক্রবারের ঘটনাবলীর পর তা সম্ভব হয়নি৷ সেদিন দামেস্কের কাবুন এলাকায় ১৪ জন মানুষ নিহত হয়৷ তার ঠিক অদূরেই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল৷ কাজেই দামেস্কের আন্দোলনকারীরা টেলিফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইস্তানবুল সম্মেলনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন৷
ইস্তানবুল সম্মেলনের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল বিরোধীদের আরো ঐক্যবদ্ধ অবস্থান সৃষ্টি করা৷ হয়তো লিবিয়ায় বিরোধীরা একটি যৌথ পরিষদ সৃষ্টির পর আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের কাছ থেকে যে সাড়া, সমর্থন এবং সাহায্য পেয়েছে, সেটাই এখানে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করেছে৷ অপরদিকে দাবি একই রয়ে গেছে৷ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগের ডাক দেওয়া হয়েছে৷
মানবাধিকার আইনজ্ঞ এবং আনজীবী হাইথাম আল মালে'র কথাই ধরা যাক৷ ইনি বিগত মার্চ অবধি রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন৷ পরে আসাদের প্রদত্ত রাজক্ষমার সুযোগ নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন৷ ইনি ‘‘ফ্যাসিস্ট সরকারের'' কথা বলেছেন৷ বলেছেন, বিরোধীরা সরকারের দ্বারা অপহৃত রাষ্ট্রকে আবার উদ্ধার করতে চায়৷ আল মালে'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিরিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হওয়া যাবৎ ২,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৫ হাজার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷
শুক্রবারের প্রতিবাদে দশ লক্ষ মানুষের পথে নামার পরিসংখ্যান দেয় সিরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র৷ নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, বলে জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের খবরে প্রকাশ৷ দামেস্ক ও তার শহরতলিতে ২৭ জন নিহত হয়, বলে সংগঠনটি জানিয়েছে৷ মধ্য সিরিয়ার হমস, উত্তর সিরিয়ার ইদিব এবং দক্ষিণের দারা'তে আরো ১৪ জন প্রাণ হারায়৷ - সরকারি সানা সংবাদ সংস্থা অবশ্য মোট ১২ জন নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিহত হবার কথা জানিয়েছে৷ এরা নাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের গুলিতে নিহত হয়েছে৷ - বলা বাহুল্য, যেহেতু অধিকাংশ বিদেশি মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির সিরিয়ায় প্রবেশ নিষেধ, সেহেতু হতাহতের খবরাখবর সরেজমিনে যাচাই করার কোনো উপায় নেই৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই