ফেলানী হত্যার দুই বছর
৮ জানুয়ারি ২০১৩২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী৷ তাঁর লাশ কাটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল দীর্ঘ সময়৷ সেই কথা বলতে গিয়ে আজও শোকার্ত হয়ে পড়েন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম৷
সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর, দেশে-বিদেশে নিন্দা এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ কিন্তু ওই পর্যন্তই৷ এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না ফেলানীর পরিবারের সদস্যদের৷ বিচার তো দূরের কথা ভারত বা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে কোনো ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি আজ পর্যন্ত৷
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম ডয়চে ভেলেকে জানান, এখন তাঁরা অনেক কষ্টে আছেন৷ ফেলানীকে হত্যার পর তাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারছেন না৷
ফেলানী হত্যার পর অনেক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড কমেনি৷ শুধু ঐ সীমান্তেই গত দু'বছরে আরো তিনজন নিহত হয়েছেন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ফেলানী হত্যার ব্যাপারে ভারত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয় তখনই৷ বাংলাদেশও এর বিচার দাবি করে৷ বলা বাহুল্য, সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ডই বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷ কিন্তু হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে দু'দেশকেই আরো কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে৷
ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও, গত বছর সীমান্তে ৩৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বিএসএফ-এর হাতে৷ আর নতুন বছরে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন চারজন৷