‘সেভিং ফেস’
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২‘সেভিং ফেস' ডকুমেন্টারির ঘটনা হল – দুজন মহিলার ওপর অ্যাসিড ছোড়া হয়৷ তাঁদের মুখ বিকৃত হয়ে যায়৷ তাঁরা বেঁচে যায়, কিন্তু তাঁদের জীবন পাল্টে যায় পুরোপুরি৷ তখন একজন কসমেটিক সার্জান এগিয়ে আসেন৷ বিদেশে পড়াশোনা করে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে৷ সেখানে মহিলাদের চিকিৎসা শুরু করেন তিনি৷
পুরো ডকুমেন্টারির দৈর্ঘ্য ৫০ মিনিট৷ ডকুমেন্টারি যৌথভাবে তৈরি করেছেন পাকিস্তানের চলচ্চিত্র পরিচালিকা শারমিন ওবায়েদ চিনয় এবং মার্কিন পরিচালক ড্যানিয়েল জাঙ্গে৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি প্রতিজ্ঞা করেছেন, ওবায়েদ চিনয়কে ‘হাই সিভিল অ্যাওয়ার্ড'-এ ভূষিত করবেন৷
তবে অস্কার পাওয়ার কয়েকদিন পরেই পাকিস্তানের প্রচার মাধ্যমগুলো পাকিস্তানে অ্যাসিড হামলা সমস্যার ওপর আলোকপাত করে৷ বেশ কয়েকটি পত্রিকা লেখে, চিনয়ের এই পুরস্কার প্রাপ্তি আনন্দের এবং গৌরবের৷ কিন্তু তা একই সঙ্গে পাকিস্তানের জাতীয় লজ্জা৷ কারণ অ্যাসিড নিক্ষেপের মত ঘটনা একটি দেশের সমাজকে শুধু পিছিয়ে দিতে পারে৷ কথাটা একেবারে সত্যি৷
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন মার্ভি মেমন৷ তিনি জানান, ‘‘ওবায়েদ চিনয়ের এই পুরস্কার পাকিস্তানের গোটা চলচ্চিত্র জগতের জন্য একটি বিশাল প্রাপ্তি৷'' তিনি আরো জানান, পুরো ডকুমেন্টারিতে পাকিস্তানের সমাজের একটি দুষ্ট ক্ষতকে তুলে ধরা হয়েছে৷ দেশের আইনকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷ আর শুধু মাত্র আইনই এই ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে পারে৷
অ্যাসিড নিক্ষেপ সমস্যা পাকিস্তানে নতুন নয়৷ যুগ যুগ ধরে মেয়েদের ওপর অ্যাসিড হামলা চালানো হচ্ছে৷ একটি সময় ছিল যখন অ্যাসিড হামলা নিয়ে কোন প্রচার মাধ্যম কোন প্রতিবেদন ছাপতে পারতো না৷ কারণ, সরকার তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল৷ গত দশকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় এবং প্রচার মাধ্যমগুলো অ্যাসিড হামলা নিয়ে ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপতে শুরু করে৷ এরপরই এই সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানবাধিকার সংস্থা এবং নারী সংগঠনগুলো৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ