ফসল দ্বিগুণ করার আশা
১৮ নভেম্বর ২০১২বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বার্ন কিংডম এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে, দেশে ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে রফতানিও সম্ভব হবে৷
বর্তমানে খাদ্যের চাহিদা অনুযায়ি ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন হবে প্রায় ৮ কোটি টন৷ সে হিসেবে বর্তমানে হেক্টরপ্রতি কৃষি উৎপাদন ২ দশমিক ৮ টন থেকে নিয়ে যেতে হবে ৪ টনে৷ সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে অনেকগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও৷
সম্প্রতি দেশে ট্রে পদ্ধতিতে ধান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বেসরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বার্ন কিংডম৷ প্রতিষ্ঠানটির দাবি এই পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করে চাষাবাদ করতে পারলে উৎপাদন খরচ কমানোর পাশাপাশি সনাতন পদ্ধতির চেয়ে ৪৫ থেকে ৪৭ ভাগ বেশি ফলন বাড়ানো সম্ভব৷
গোল্ডেন বার্ন কিংডমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহবাব আকবর বলেন, এই প্রদ্ধতিতে বীজতলা তৈরীর প্রয়োজন হয় না৷ তাদের নার্সারিতেই চারা উৎপাদন হবে৷ অল্প সময়েই চারা মাঠে লাগাতে হয়৷ মাত্র ১৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই চারা মাঠে রোপন করা হচ্ছে৷
বিএডিসি বলছে, এই পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিএডিসি কর্মকর্তা আশুতোষ লাহিড়ি বলেন, সাধারণ কৃষকরাও কিন্তু শ্রমিক সংকটে ভোগেন৷ এই ধরণের প্রযুক্ততিতে যদি তাদের চারা সরবরাহ করা যায় তাহলে তারা সেটা অবশ্যই নেবে৷ আর এটা যদি কম দামে হয় তাহলে তো কথাই নেই৷
তবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কৃষকদের মধ্যে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়া কঠিন হবে৷ গোল্ডেন বার্ন কিংডমের মাঠ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মনে করেন, সমবায় সমিতির মাধ্যমে সরকার যদি এই প্রযুক্তি কৃষকদের মধ্যে দেয় তাহলে সব ধরনের কৃষক এটি দ্রুত পাবেন৷
কৃষকের ফসল বাড়াতে নানা ধরনের প্রযুক্ত আবিষ্কার হলেও তা সাধারণ কৃষক পর্যন্ত পৌঁছয় না৷ তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত থাকেন৷ তবে গোল্ডেন বার্ন কিংডমের কর্মকর্তারা মনে করেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে এই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে৷