1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফসল দ্বিগুণ করার আশা

সমীর কুমার দে, ঢাকা১৮ নভেম্বর ২০১২

দেশে ট্রে পদ্ধতিতে ধান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষি গবেষকরা৷ এই পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করে সনাতন পদ্ধতির চেয়ে ৪৫ থেকে ৪৭ ভাগ বেশি ফলন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/16l3p
Bangladeshi women work at a rice mill in Rangpur, 248 kilometers (155 miles), north of Dhaka, Bangladesh Wednesday, Feb.11, 2009. (ddp images/AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: AP

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বার্ন কিংডম এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে, দেশে ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে রফতানিও সম্ভব হবে৷

বর্তমানে খাদ্যের চাহিদা অনুযায়ি ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন হবে প্রায় ৮ কোটি টন৷ সে হিসেবে বর্তমানে হেক্টরপ্রতি কৃষি উৎপাদন ২ দশমিক ৮ টন থেকে নিয়ে যেতে হবে ৪ টনে৷ সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে অনেকগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও৷

সম্প্রতি দেশে ট্রে পদ্ধতিতে ধান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বেসরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বার্ন কিংডম৷ প্রতিষ্ঠানটির দাবি এই পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করে চাষাবাদ করতে পারলে উৎপাদন খরচ কমানোর পাশাপাশি সনাতন পদ্ধতির চেয়ে ৪৫ থেকে ৪৭ ভাগ বেশি ফলন বাড়ানো সম্ভব৷

গোল্ডেন বার্ন কিংডমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহবাব আকবর বলেন, এই প্রদ্ধতিতে বীজতলা তৈরীর প্রয়োজন হয় না৷ তাদের নার্সারিতেই চারা উৎপাদন হবে৷ অল্প সময়েই চারা মাঠে লাগাতে হয়৷ মাত্র ১৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই চারা মাঠে রোপন করা হচ্ছে৷

বিএডিসি বলছে, এই পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিএডিসি কর্মকর্তা আশুতোষ লাহিড়ি বলেন, সাধারণ কৃষকরাও কিন্তু শ্রমিক সংকটে ভোগেন৷ এই ধরণের প্রযুক্ততিতে যদি তাদের চারা সরবরাহ করা যায় তাহলে তারা সেটা অবশ্যই নেবে৷ আর এটা যদি কম দামে হয় তাহলে তো কথাই নেই৷

তবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কৃষকদের মধ্যে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়া কঠিন হবে৷ গোল্ডেন বার্ন কিংডমের মাঠ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মনে করেন, সমবায় সমিতির মাধ্যমে সরকার যদি এই প্রযুক্তি কৃষকদের মধ্যে দেয় তাহলে সব ধরনের কৃষক এটি দ্রুত পাবেন৷

কৃষকের ফসল বাড়াতে নানা ধরনের প্রযুক্ত আবিষ্কার হলেও তা সাধারণ কৃষক পর্যন্ত পৌঁছয় না৷ তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত থাকেন৷ তবে গোল্ডেন বার্ন কিংডমের কর্মকর্তারা মনে করেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে এই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য