1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আরো যত্নবান হতে হবে

৫ জানুয়ারি ২০১২

বাংলাদেশে কোচিং যে এক ধরণের বাণিজ্যের রূপ নিয়েছে, এতে কোন সন্দেহ পোষণ করেননা শিক্ষা জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেকেই৷ তবে এই বাণিজ্য বন্ধ করতে চায় সরকার৷

https://p.dw.com/p/13dxC
ছবি: picture alliance / landov

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ শিক্ষা পেলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হবে, মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ৷

স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? বিভিন্ন কোচিং সেন্টার সম্পর্কে তাদের মনোভাবই বা কেমন? এ প্রসঙ্গে ঢাকাস্থ এসওএস হারমান মাইনার স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা শাহানারা বেগম জানান,‘‘কোচিং সেন্টারগুলো হচ্ছে আসলে ব্যবসা বাণিজ্য৷ বর্তমানে পড়াশোনার যে প্রেক্ষাপট তাতে ছাত্র-ছাত্রী নিজেরাই নিজেদের পড়াশোনা গুছিয়ে নিতে পারবে৷ কোচিং সেন্টারের প্রয়োজন নেই৷ এছাড়া কোচিং সেন্টারে তো মানসম্মত শিক্ষক-শিক্ষিকাও নেই৷ যারা পড়াচ্ছে তারা নিজেরাই স্টুডেন্ট৷ তারাই এই ব্যবসাকে ধরে রেখেছে৷''

অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাও এসব কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেন৷ তারাই ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেন এসব কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার জন্য, মনে করেন শাহানারা বেগম৷ তিনি বললেন ,‘‘আমার মতে বাচ্চারা পড়াশোনা করছে, কীভাবে করছে সেদিকে বাবা-মায়েরা খেয়াল রাখেন না৷ কে কতটুকু মনোযোগী, পড়াশোনা কতুকু করছে, সময় কীভাবে কাটাচ্ছে – সেদিকে বাবা-মায়েদের নজর নেই৷ এক শ্রেণি মনে করে স্যারের বাসায় দিলাম, কোচিং-এ দিলাম অর্থাৎ বাচ্চা ব্যস্ত থাকবে, সময় কেটে যাবে৷ এর ফলে বাবা-মা এক ধরণের আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন৷''

ক্লাস রুমে ঠিকমত পড়ানো হচ্ছে কিনা – তা কে নিশ্চিত করবে? এ প্রশ্নের উত্তরে শাহানারা বেগম বললেন, ‘‘প্রাতিষ্ঠানিক চাপ থাকা জরুরি৷ শিক্ষক হিসেবে এটা হবে শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব ক্লাসরুমে পড়ানো৷ সরকারিভাবে অনেক দিন থেকেই চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ তো হচ্ছে না৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক