হলে থেকেই শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে
১৭ জানুয়ারি ২০২২রোববার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়৷ শিক্ষার্থীদের সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷
ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, রোববার রাতে উপাচার্য বলেন, "যার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন, সেই প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন৷ তার পরিবর্তে ওই হলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে৷”
ঘোষণাটি প্রত্যাখ্যান করে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সে রাতেই উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে৷
আন্দোলকারীরা রোববার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে পুরো ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং মিছিল শেষে বেলা ১১টার দিকে মুক্তমঞ্চে জমায়েত হন৷
সেখান থেকে বলা হয় শিক্ষার্থীরা হলেই অবস্থান করবেন এবং প্রতিটি হলের প্রভোস্টের অফিসের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে৷ সেই সঙ্গে ভিসিকে অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে৷
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘‘আমাদের দাবি একটাই, উপাচার্যের পদত্যাগ৷ এখন আমরা সকলে একসাথে বসব৷ সকলের আলোচনার মধ্যে যে সমাধান আসবে, সে অনুযায়ী কাজ করা হবে৷’’
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার' করার অভিযোগে হলের শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন৷ আন্দোলনের চতুর্থ দিনে রোববার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন৷ বিকাল পাঁচটায় পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করে৷
সেখানে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ এক পর্যায়ে লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷ এতে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)