1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইকোর্টের তিন বিচারককে ‘অব্যাহতি'

২২ আগস্ট ২০১৯

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারককে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3OJ9h
Bangladesch Oberstes Gericht Skulptur
ছবি: bdnews24.com

বিচারক সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজাউল হক এবং এ কে এম জহুরুল হকের নাম সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারে নিয়মিত কার্যতালিকায় রাখা হয়নি বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বাংলা ট্রিবিউন জানিয়েছে৷

বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এই তিন বিচারককে আপাতত তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র তাদের জানিয়েছে৷ ফলে বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি।

তবে কোন দুর্নীতির অভিযোগে এই বিচারকদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি৷ ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি৷

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘হাইকোর্টের তিন বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি শুনেছি। এটা প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির বিষয়, তাই আপাতত এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না৷''

গত ১৬ মে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিম্ন আদালতের মামলায় হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিচারক সালমা মাসুদ চৌধুরী ও জহুরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের বিরুদ্ধে৷

ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত এক রিট মামলায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি জারির মাধ্যমে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ রায় পাল্টে দেন বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অভিযোগ তুলেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট অর্থ ঋণ আদালতের (নিম্ন আদালত) মামলাটির সব ডিক্রি ও আদেশ বাতিল ঘোষণা করেছিলেন৷

এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সালমা মাসুদ চৌধুরী ও জহুরুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। কাজী রেজাউল হকের বিরুদ্ধে কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও কিছু বলছে না তারা৷

এসআই/ (বাংলা ট্রিবিউন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য