আদালতে হিজাব পরা চলবে না!
২১ মার্চ ২০১৯বাভেরিয়া রাজ্য কর্তৃপক্ষের হিজাব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদে স্থানীয় একটি মুসলিম সংগঠনের করা আবেদনের প্রক্ষিতে এ রায় দিয়ে আদালত জানায়, ধর্মীয় বা অন্য যে কোনো মতাদর্শ বিষয়ে নিরেপক্ষ থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিচার বিভাগের৷
ক্রুশ বিতর্ক
রাজ্যের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করা মুসলিম সংগঠনটি দাবি করেছিল যে, বাভেরিয়া কর্তৃপক্ষের আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা দেশের ধর্ম বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন, কেননা বাভেরিয়ার আদালতে খিষ্টানদের ধর্মীয় প্রতীক ক্রুশ ঝোলানো হয়৷ মুসলিম সংগঠনটির এ যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে আদালত জানায় যে, ক্রুশ ঝোলানোর বিষয়টি তাঁদের যুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ বরং এটি আদালতের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত৷ আদালত আরো জানায় যে, হিজাব পরার বিষয়ে এ নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই লিঙ্গবৈষম্য হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না৷ কারণ আদালত পুরুষদের বেলায়ও সব ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরে আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে৷
গত কয়েক বছর ধরেই জার্মানিতে নারীদের, বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত নারীদের হিজাব পরার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ সর্বশেষ জার্মান সংসদের সিডিইউ-সিএসইউ-এর ডেপুটি চেয়ারম্যান কার্স্টেন লিনেমান দেশটিতে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের হিজাব পরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন৷ কার্স্টেন লিনেমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছেলেদের মতো মেয়েদেরও মুক্তভাবে বেড়ে উঠার স্বাধীনতা থাকা উচিত৷
বিতর্কিত পরিকল্পনা
গত বছর জার্মানির সবচাইতে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করে৷ সমালোচনাকারীরা বলছেন, নারী নির্যাতনের একটি প্রতীক হলো হিজাব৷ এর বিপরীতে আরেক পক্ষ যুক্তি দেখাচ্ছে যে, হিজাব পরিধানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ৷ আবার কেউ কেউ বলছেন, পোশাক নিয়ে এ ধরনের সমালোচনা ইসলামবিরোধী মনোভাবের প্রকাশ৷
আরআর/ডিজি (ডিপিএ, ইপিডি)