হাম্মামের বহিষ্কার এশিয়ার ফুটবলের জন্য লজ্জা
২৪ জুলাই ২০১১অবশ্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি মুখে সেই লজ্জার কথা স্বীকার করছে না৷ বরং তারা এএফসির বর্তমান প্রেসিডেন্টের এই অবস্থায় গভীর দুঃখই প্রকাশ করেছে৷ এএফসি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝাং জিলং এক বার্তায় সহানুভূতি জানিয়েছেন হাম্মামের প্রতি৷ তিনি বলেন, এই বিষয়ে এএফসির বলার কিছু নেই৷ এটা এশিয়ার ফুটবলের জন্য একটি কঠিন সময় কারণ এই মুহূর্তে আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে পাতানো ম্যাচ৷ ঝাং জিলং জানিয়েছেন, তারা ফিফার সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন৷ তবে হাম্মাম এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন সেটিও তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, শনিবার ফিফা তদন্ত শেষে মোহাম্মদ বিন হাম্মামকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে৷ অভিযোগ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হাম্মাম ঘুষ দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছিলেন৷ হাম্মাম ছাড়াও ক্যারিবিয়ান ফুটবল ইউনিয়নের দুই কর্মকর্তা ডেবি মিঙ্গুয়েল এবং জ্যাসন সিলভেস্টারকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে ফিফা৷ হাম্মামের সঙ্গে আরও একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল৷ তিনি হলেন ফিফার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নার৷ কিন্তু অভিযোগের কয়েকদিন পর তিনি পদত্যাগ করায় এই যাত্রায় রক্ষা পেয়ে গেছেন৷
হাম্মামের বহিষ্কারের পর অবশ্য এখন কাতারে বিশ্বকাপ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ আগামী ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য স্বাগতিক দেশ কাতার৷ কিন্তু এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, এই জন্যও নাকি হাম্মাম ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঘুষের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর এখন সেই গুজব আরও জোরালো হচ্ছে৷ ফলে আবারও এশিয়াতে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা দূরাশা হওয়ার সম্ভাবনায়৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই