হাসনাত, তাহমিদ এখন কোথায়?
২ আগস্ট ২০১৬ঐ ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম' ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘হাসনাত করিম ও তাহমিদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ আমরা তাদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছি৷'' আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাগালের মধ্যেই আছেন, প্রয়োজনে তাঁদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷''
মনিরুল ইসলাম আরো দাবি করেন, ‘‘হয়তো যে-কোনো কারণে তাঁরা বাসায় অবস্থান না করে অন্য জায়গায় অবস্থান করছেন৷ তাঁরা কোথায় আছেন, এটা মোটামুটি আমাদের ধারণায় রয়েছে৷ আমাদের ওয়াচের মধ্যেই আছে, সার্ভিলেন্সের ভেতরেই রয়েছে৷ আমরা চাইলে তাঁদের পাব৷''
এই ব্যাপারে হাসনাত ও তাহমিদের পরিবারের সঙ্গে ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ এর আগে দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছিল যে, হাসনাত ও তাহমিদ কোথায় আছেন তা তাঁরা জানেননা৷
এদিকে পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘হাসনাত করিম পুলিশের নলেজে আছেন৷ প্রয়োজন পড়লে যে-কোনো সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়া হবে৷''
তবে এর আগে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার(মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা তাঁদের দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি৷ কিন্তু এখন তাঁরা আর পুলিশের কাছে নেই৷ তাঁদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ এখন তাঁরা কোথায় আছে তা আমাদের জানা নাই৷''
হাসনাত করিমের পরিবার গত মাসের মাঝামাঝিতে জানায়, ‘‘জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গত ২ জুলাই রাতে তাঁর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়৷ এরপর আর দেখা হয়নি৷'' পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাসনাত তাঁদের হেফাজতে নেই৷ তখন একই ধরণের কথা বলা হয় তাহমিদের পরিবারের পক্ষ থেকেও৷
১ জুলাই অভিযান শুরুর আগে হাসনাত করিমকে সপরিবারে এবং তাহমিদকে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারির জিম্মিদশা থেকে ছেড়ে দেয় হামলাকারীরা৷ তাহমিদ আফতাব বহুমুখী ফার্মস-এর এমডি ফজলে রহিম শাহরিয়ারের ছেলে৷ হলি আর্টিজানের পাশে বসবাসরত এক কোরিয়ান নাগরিকের ধারণ করা ভিডিওতে তাঁদের মুক্তি দেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে৷
দুই শীর্ষ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা
গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড' তামিম চৌধুরী এবং সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিতে প্রত্যেকের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ সদরদপ্তর৷ পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন৷
আইজিপি জানান, ‘‘সাবেক (মূল) জেএমবি গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলায় জড়িত ছিল না৷ মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জেএমবির একটি নতুন ভার্সন এই হামলা চালিয়েছে৷ তারাই এই হামলার মাস্টারমাইন্ড৷ এ হামলাগুলো ওই দুজনের নির্দেশনায় হয়েছে৷''
প্রিয় পাঠক, আপনার কিছু বলার থাকলে নীচে মন্তব্যের ঘরে জানাতে পারেন...