হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ে বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে
৭ এপ্রিল ২০২২বাংলাদেশ সরকার ওষুধ দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই ওষুধ কেন্দ্রীয় সরকার দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সেই ওষুধ পাঠায় হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাসপাতালগুলিতে। তাও গত বছর জুন মাসে।
গত মঙ্গলবার কাঁথির হাসপাতালে সেই ওষুধ দেয়া নিয়ে হইচই শুরু হয়। হাসপাতালের আউটডোরে যারা চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে বাংলাদেশের ওষুধ দেয়া হয়। তারমধ্যে একটি ওষুধ হলো অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন। তাতে বাংলায় লেখা ছিল, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ'। কিন্তু ওষুধ কতদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে, তার সাল-তারিখ উল্লেখ করা ছিল না। এই ওষুধ হাতে পেয়েই রোগীরা ঘাবড়ে যান। তারা নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। কী করে বাংলাদেশের ওষুধ পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন ওঠে।
তারপর বুধবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের সূত্র জানিয়েছে, ওই ওষুধ বৈধ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেই তা এসেছে। এর মধ্যে কোনো বেআইনি বিষয় বা কোনো কোলেঙ্কারি নেই।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ওই ওষুধগুলি গত ৩ জুন রাজ্যকে পাঠানো হয়। পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা একটি সংস্থা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওষুধগুলি ভারতে পাঠিয়েছিল। তারপর ৫ ও ৭ জুন ওষুধগুলি কয়েকটি জেলার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জিএইচ/এসজি (আনন্দবাজার)