হোয়াটসঅ্যাপের চাহিদা
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ইয়াহুর দুই সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন এবং জ্যান কুম ২০০৯ সালে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠান করেন৷ মূলত ইংরেজি শব্দ ‘হোয়াটস আপ' থেকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ' নামটি নিয়েছেন তারা৷ আর ধারণাটা অনেকটা স্কাইপের মতোই৷ এক স্মার্টফোন থেকে আরেক স্মার্টফোনে মেসেজ পাঠানো যাবে বিনা খরচায়, মুঠোফোন সেবাদাতার ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে৷ এক্ষেত্রে বাড়তি কোনো ডাটা চার্জ প্রযোজ্য হবে না৷ স্কাইপও একই পদ্ধতিতে ভয়েস ডাটা ট্রান্সফার করে৷
হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতারা শুরু থেকেই তাদের অ্যাপ-কে বিজ্ঞাপনদাতা, গোয়েন্দা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থেকে দূরে রেখেছেন৷ এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য যাতে তৃতীয় কোনো পক্ষ না পায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট তারা৷ নীতিগত এসব ব্যাপার ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জনে সহায়তা করেছে৷
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফেসবুক বিপুল অর্থের বিনিময়ে অ্যাপ-টি কিনে একটি ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই ওয়েবসাইটটি এখন মুঠোফোন এবং ট্যাবলেটের দিকে নজর দিচ্ছে৷ কারণ মানুষ এখন ক্রমশই কম্পিউটারের চেয়ে বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের বেশি আগ্রহী৷ তাই ব্যবসার স্বার্থে মোবাইল ডিভাইসেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জরুরি৷
শুধু ফেসবুক নয়, মাইক্রোসফটও ভবিষ্যৎ দেখছে মোবাইল ডিভাইসে৷ যে কারণে কিছুদিন আগে পাঁচ বিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করে নোকিয়ার মোবাইল ইউনিট কিনে নেয় প্রতিষ্ঠানটি৷
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ যে কেউ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে ব্যবহারের দ্বিতীয় বছর থেকে ৯৯ সেন্ট বাৎসরিক ফি দিতে হয়৷ এই সেবা ব্যবহার করে স্মার্টফোন থেকে সহজেই ছবি, ভিডিও, অডিও এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানো যায়৷ মেসেজ পাঠানোর বিকল্প এই উপায় দ্রুতই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নজর কাড়ে৷
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৫০ মিলিয়নের বেশি৷ প্রতিদিন পাঁচ বিলিয়ন মেসেজ আদানপ্রদান হয় এই অ্যাপের মাধ্যমে৷ ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে রয়েছেন ৫০ জন কর্মী৷ এদের মধ্যে ত্রিশজনই ইঞ্জিনিয়ার৷
এআই/এসবি (এএফপি, এপি)