বাংলাদেশ
৯ ডিসেম্বর ২০১২অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই সহিংসতার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছেন৷
আট ঘণ্টার এই অবরোধ ভোর থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে সহিংস রূপ নেয়৷ ঢাকার পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, নয়াপল্টন, শ্যামপুর, গাবতলী, সায়েদাবাদ, পুরনো ঢাকাসহ অনেক জায়গায়ই অবরোধ সমর্থকদের সাঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ অবরোধকারীরা পুলিশের গাড়িসহ বাস, ট্রাক এবং মিনিবাসে হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়৷ আর পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়৷ তারা গুলি, রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে৷ আর মাঠে ছিল অবরোধ বিরোধীরাও৷ দফায় দফায় সংঘর্ষে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়৷
পুরনো ঢাকায় পিকেটার সন্দেহে বিশ্বজিত সাহা নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ জানা গেছে ওই এলাকায় কয়েকটি বোমা বিস্ফোরিত হলে অবরোধ বিরোধীরা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়৷
ঢাকার বাইরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে অবরোধ সমর্থক এবং অবরোধ বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে৷ সংঘর্ষে ওয়ারেস আলী নামে একজন নিহত হয়েছে৷ তিনি জামায়ত সমর্থক বলে জানা গেছে৷ এছাড়া চট্রগ্রাম, খুলনা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত, সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় অবরোধের সময় দ্রুতগামী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন নিহত হয়েছে৷
অবরোধ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দাবী করেন অবরোধ চলাকালে মোট ৪ জন নিহত হয়েছে৷ তিনি সংঘাত এবং নাশকতার জন্য সরকারকেই দায়ী করেন৷
এর জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, নাশকতা এবং সংঘাতের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট দায়ী৷ তারা এর মধ্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়৷
নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বিএনপি'র নেতৃত্বে ১৮ দল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে৷