প্রত্যাশা শান্তিময় বাংলাদেশ
১ জানুয়ারি ২০১৪শরিফ আহমেদের প্রত্যাশা যেমন শান্তিময় বাংলাদেশ৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘কীভাবে শুভেচ্ছা জানালে, কি লিখলে, কি করলে, কি বললে....ইংরেজি নতুন বছরটা সবার জন্য অথবা দেশবাসীর জন্য শুভ হবে জানিনা, তবে মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা....২০১৪ সালটা যেনো হয়....শান্তিময় বাংলাদেশ৷''
আমারব্লগে জয় সাহা ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সাফল্য ও ব্যর্থতার ঘটনা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘২০১৩ সাল ছিল হাসিকান্নায় জর্জরিত একটা গল্পের কাহিনির মতো৷ ইতিহাসের সবচাইতে ভয়ংকরতম দুর্ঘটনা সাভার ট্র্যাজেডি ঘটেছে এই সালে৷ নিয়ে গেছে হাজার শ্রমিকের জীবন৷ কাঁদিয়েছে অনেক পরিবারকে৷ অনেক মানুষ হারিয়েছে তাদের আত্মীয়কে, কেউ হারিয়েছে পরিবারের একমাত্র অবলম্বনকে৷ রাজনৈতিক সহিংসতায়ও এই বছর কম মানুষ প্রাণ হারায়নি৷''
দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখের পর জয় সাহা লিখেছেন সাফল্যের কথাও৷ ‘‘দেশের অপশক্তি, রাজাকারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এ বছর সারা বাংলার জনগণকে উদ্ভাসিত করতে গঠিত হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ৷ সারা বাংলার প্রতি কোণায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে ৪২ বছরের পুরোনো চেতনা৷ যদিও কিছু মঞ্চ ব্যবসায়ীর কারণে সেই মঞ্চ আজ কিছু আওয়ামী লীগারের দখলে তবুও আজ সারা বাংলা জাগরিত৷ মঞ্চের উদ্দেশ্য আজ সফল৷ এই বছরই আমরা পেলাম রাজাকারদের ফাঁসির রায়৷ হলো কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসি৷''
জয় সাহা তাঁর পোস্ট শেষ করেছেন এই বলে, ‘‘বছরের প্রথমদিনই অবরোধ৷ শুরুটা ব্যাপার না৷ শেষ ভালো যার সব ভালো তার৷ ২০১৪ থেকে অনেক প্রত্যাশা৷ জানি না আমাদের আশা প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়৷''
এদিকে সামহয়্যার ইন ব্লগে জামাল হোসেন (সেলিম) লিখেছেন, ‘‘একটা স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক হিসেবে পৃথিবীবাসীকে জানাই ‘আনহ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৪!' সরকারি দল, বিরোধী দল আর রাজাকারের দল মিলে আমাদের সাধারণের উপর যেভাবে অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে একে পরাধীনতা ছাড়া আমি আর কিছু বলতে পারছি না৷ আর পরাধীন অবস্থায় কেহ ভালো থাকতে পারে না৷ হ্যাপি নিউ ইয়ার বলবো কিভাবে? বাংলার মানুষ (সাধারণ) আজ পুরোপুরিই আনহ্যাপি৷''
হতাশা দিয়ে শুরু করলেও সেলিম তাঁর পোস্টটা শেষ করেছেন নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নুতন বছরের শুরুটা আনহ্যাপি হলেও এ যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয়, দ্রুতই সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এই কামনায় স্বাগতম হে ইংরেজী নববর্ষ ২০১৪৷''
একই ব্লগে এম মশিউর সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘‘ইংরেজি মাস ও দিনের জন্মকথা'' শীর্ষক একটি পোস্ট দিয়েছেন৷ ইংরেজি মাস ও দিনের নামগুলো কীভাবে আসলো তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন মশিউর৷
জন্মদিনের সংখ্যা
বছরের প্রথম দিনটিতে ফেসবুক আর ব্লগে অনেক বেশি সংখ্যক বন্ধুর জন্মদিন দেখতে পেয়ে সেই বিষয়েও পোস্ট দিয়েছেন অনেকে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে খাঁন রোজেন লিখেছেন, ‘‘প্রতিবছর এই দিনে বেশিরভাগ মানুষের জন্ম হয় বা জন্মদিন হয়৷ সাধারণত প্রতিদিন ২-৩টি জন্মদিনের উইশ করতে হয়৷ মাগার আইজক্যা ৩০৯ জনের জন্মদিন৷ এত্তোগুলা উইশ আমি একলা কেমনে করমু?'' পোস্টের শিরোনাম থেকে জানা গেলো, রোজেনের ৩০৯ জন ফেসবুক বন্ধুর জন্মদিন আজ!
খাঁন রোজেন এতজন বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানানোর উপায় খুঁজে না পেলেও কাইমুল হক একই ধরনের সমস্যায় পড়ে নিজে নিজেই একটা উপায়ের কথা চিন্তা করেছেন৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘ফ্রেন্ডলিস্টের ১৯ জনের জন্মদিন আজ৷ ভাবছি, শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবো৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ