সাক্ষরতা
৯ সেপ্টেম্বর ২০১২লেখাপড়া শেখা হয়নি খুব বেশি৷ তারপরও স্বামীকে সহযোগিতা করতে পাড়ার মোড়েই একটি মোবাইল ফোন নিয়ে বসে গেছেন গৃহবধু হালিমা খাতুন৷ ইংরেজি লেখা কিপ্যাড আর সময় দেখতে কোন অসুবিধা হয় না তাঁর৷
চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকার রাস্তায় রিক্সা চালান আবদুল কুদ্দুস৷ এখন মটর লাগানো রিক্সা চালিয়ে উপার্জন করেন তিনি৷ খুব বেশি লেখাপড়া না শিখলেও এই মটর চালিত রিক্সা চালাতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর৷
নাজির হোসেন কড়াইল বস্তির ছোট্ট একটি ঘরে মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের কাজ করেন৷ কিন্তু এসব বিষয়ে তাঁর কোন পড়াশোনা নেই৷ প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও মোবাইল ফোনের নাড়ি নক্ষত্র ভালোই জানেন তিনি৷
১৫ কোটি মানুষের এই দেশে হালিমা, কুদ্দুস আর নাজিরের মত অনেকেই খুব বেশি লেখাপড়া না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন সংগ্রাম৷ সরকারের সুদূরপ্রসারী চিন্তা না থাকায় দেশে সাক্ষরতার হার বাড়ছে ঢিমে তালে৷ তবে আগের তুলনায় বাড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা৷ দেশে শিক্ষার হার নিয়ে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যেই রয়েছে নানা তথ্য৷ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে দেশে সাক্ষরতার হার ৫৮ শতাংশ৷ আর উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বলছে সাক্ষরতার হার ৫৩ শতাংশ৷
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান বলছেন, যেভাবে সাক্ষরতার হার বাড়ছে তাতে ২০১৪ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়৷ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পেশাদার শিক্ষক নিতে হবে৷
আর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলছেন, নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া আগের তুলনায় অনেক কমেছে৷ তবে সাক্ষরতার হার ধরে রেখে তাদের একটা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানোই বড় চ্যালেঞ্জ৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই