1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাক্ষরতা

৯ সেপ্টেম্বর ২০১২

সরকারের সুদূরপ্রসারী চিন্তা না থাকায় দেশে সাক্ষরতার হার বাড়ছে ঢিমে তালে৷ যেভাবে সাক্ষরতার হার বাড়ছে তাতে ২০১৪ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়৷ তবে বাড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা৷

https://p.dw.com/p/165VE
Schüler einer staatlichen Grundschule lernen am Mittwoch (22.06.2011) in Lohacura, einem Ort im Westen von Bangladesch, in ihrem Klassenraum. Jeder zweite Bangladeschi ist jünger als 15 Jahre. Die Analphabetenrate liegt immer noch bei 74 Prozent. Foto: Tim Brakemeier dpa
ছবি: picture-alliance/dpa

লেখাপড়া শেখা হয়নি খুব বেশি৷ তারপরও স্বামীকে সহযোগিতা করতে পাড়ার মোড়েই একটি মোবাইল ফোন নিয়ে বসে গেছেন গৃহবধু হালিমা খাতুন৷ ইংরেজি লেখা কিপ্যাড আর সময় দেখতে কোন অসুবিধা হয় না তাঁর৷

চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকার রাস্তায় রিক্সা চালান আবদুল কুদ্দুস৷ এখন মটর লাগানো রিক্সা চালিয়ে উপার্জন করেন তিনি৷ খুব বেশি লেখাপড়া না শিখলেও এই মটর চালিত রিক্সা চালাতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর৷

নাজির হোসেন কড়াইল বস্তির ছোট্ট একটি ঘরে মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের কাজ করেন৷ কিন্তু এসব বিষয়ে তাঁর কোন পড়াশোনা নেই৷ প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও মোবাইল ফোনের নাড়ি নক্ষত্র ভালোই জানেন তিনি৷

Bundesentwicklungsminister Dirk Niebel (FDP) besucht am Mittwoch (22.06.2011) in Lohacura, einem Ort im Westen von Bangladesch, eine von der EU geförderte Grundschule und unterhält sich mit Schülern. Niebel ist für neun Tage im mittleren Osten und informiert sich über Entwicklungshilfeprojekte in Pakistan, Afghansitan und Bangladesch. Foto: Tim Brakemeier dpa +++(c) dpa - Bildfunk+++ pixel
বাংলাদেশ সফরে স্কুল ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলছেন জার্মান মন্ত্রী ডির্ক নিবেল (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance/dpa

১৫ কোটি মানুষের এই দেশে হালিমা, কুদ্দুস আর নাজিরের মত অনেকেই খুব বেশি লেখাপড়া না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন সংগ্রাম৷ সরকারের সুদূরপ্রসারী চিন্তা না থাকায় দেশে সাক্ষরতার হার বাড়ছে ঢিমে তালে৷ তবে আগের তুলনায় বাড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা৷ দেশে শিক্ষার হার নিয়ে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যেই রয়েছে নানা তথ্য৷ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে দেশে সাক্ষরতার হার ৫৮ শতাংশ৷ আর উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বলছে সাক্ষরতার হার ৫৩ শতাংশ৷

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান বলছেন, যেভাবে সাক্ষরতার হার বাড়ছে তাতে ২০১৪ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়৷ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পেশাদার শিক্ষক নিতে হবে৷

আর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলছেন, নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া আগের তুলনায় অনেক কমেছে৷ তবে সাক্ষরতার হার ধরে রেখে তাদের একটা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানোই বড় চ্যালেঞ্জ৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য