1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শরণার্থী

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

মিয়ানমার দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ২,৪১৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে৷ ২০১১ সালে এই রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে মিয়ানমার৷ রবিবার দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়৷

https://p.dw.com/p/1D4bG
মিয়ানমার দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ২,৪১৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেছবি: Shaikh Azizur Rahman

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক জানান, ‘‘দুই দেশের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ' রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় কাজ করবে৷ আর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে দুই মাসের মধ্যে৷''

ঢাকায় রবিবার দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক আর মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান চি৷

Bangladesch Rohingya Bootsflüchtlinge
২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়ছবি: DW/Shaikh Azizur Rahman

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে আরো অনেক বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা, যোগাযোগ ও বাণিজ্য, জ্বালানি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্য ‘কাঠামো চুক্তি'৷ সচিব বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ধরনের চুক্তি রয়েছে, মিয়ানমারের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি হবে৷ তিনি জানান, বাংলাদেশের বান্দরবান হয়ে মিয়ানমারের পালেটোয়াসহ অন্য রুটে সড়ক যোগাযোগ চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশের দেয়া প্রস্তাবের ব্যাপারে মিয়ানমার ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে৷

Myanmar Rohingya Flüchtlinge
ছবি: Reuters

রোহিঙ্গা শরণার্থী

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারের কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে বর্তমানে নিবন্ধিত ৩০ হাজারসহ দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে

এর বাইরে আরো প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে৷

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হলেও ২০০৫ সালের পর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ আছে৷ ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়৷

২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গার পর নতুন করে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে৷ এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থীর মর্যাদা দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানো হলেও সরকার তাতে সায় না দিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে জোর দেয়৷

দাঙ্গার পর বাংলাদেশে মিয়ানমারের কোনো নাগরিক থাকার কথাও অস্বীকার করে দেশটির সামরিক সরকার৷ এমনকি দীর্ঘ তিন দশক পর গত মার্চ-এপ্রিলে মিয়ানমারে আদম শুমারি হলে তাতেও রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় উল্লেখ করার সুযোগ দেয়া হয়নি ৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘‘প্রত্যাবাসনে রাজি হয়ে মিয়ানমার কার্যত স্বীকার করল যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা তাদেরই নাগরিক৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান