1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি

২৫ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশের এবারের স্বাধীনতা দিবসে যে দাবিটি প্রবল হয়ে উঠেছে তা হলো ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা৷ ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকাসহ সারাদেশে গণহত্যা শুরু করেছিল৷

https://p.dw.com/p/1ExLp
Rowshan Jahan Shathi 1967
ছবি: Archiv Rowshan Jahan Shathi

২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট'-এর নামে ভারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে একযোগে হামলা চালায় ঢাকায় তখনকার বিডিআর (ইপিআর) সদর দপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে৷ গোলা নিক্ষেপ করে মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে, হামলা চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি এলাকায়৷ ইতিহাসের এই নির্মম নিধনযজ্ঞ সেই রাতেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে, বাংলাদেশে৷ ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়নারা৷

‘অপারেশন সার্চলাইট' নামের ঐ নিধনযজ্ঞের পরিকল্পনা হয়েছিল একাত্তরের মার্চের শুরুতেই৷ এই গণহত্যার ষড়যন্ত্রে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেনারেল ইয়াহিয়া এবং জেনারেল হামিদ অন্যতম৷ তাঁরা মনে করেছিলেন, ২০ হাজার মানুষ হত্যা করলেই ভয় পাবে বাঙালিরা৷ ফলে স্বাধীনতা আর স্বাধিকারের কথা তারা আর বলবে না৷

Bangladesch Monument Jatiyo Smriti Soudho
ছবি: National Monument of Savar

কিন্তু ২৫শে মার্চ মধ্যরাতেই রাজারবাগ থেকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ৷ ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামে ৩০ লাখ শহিদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর৷

২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার শুরুর দিনকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস' হিসেবে ঘোষণার জন্য দাবি তুলেছে বাংলাদেশের মানুষ৷ এই দাবিতে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সব শ্রেণির মানুষ৷

দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম৷ এই দাবির পক্ষে দেশে এবং দেশের বাইরে আলোর মিছিল আয়োজন করছে৷ ২৫শে মার্চ রাত ৮টায় মোমবাতি হাতে শহিদ মিনারের উদ্দেশ্য পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে৷ দেশের ৬৪টি জেলায়ও আলোর মিছিল হবে৷ শহিদ মিনারে এই আলোর মিছিলের আয়োজন করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি৷ গণজারণমঞ্চও শাহবাগে অবস্থান করার পর আলোর মিছিল নিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে৷

শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশের অধিবাসীরাও এই আলোর মিছিল করছেন৷ নিউইয়র্ক, প্যারিস, লন্ডন ও রোমে এই কর্মসূচি পালনের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আলোর মিছিল - Candle Light Procession' নামে একটি ইভেন্ট পেজ খুলে চলছে প্রচারণা৷

এই প্রসঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ২৫শে মার্চের গণহত্যা বিশ্বে নজিরবিহীন৷ একরাতে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় এক লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের শতাধিক দেশে গণহত্যা হলেও ৯০টি দেশে এখনো বিচার হয়নি৷ তাই সারাবিশ্বে যেখানে যেখানে গণহত্যা হয়েছে সবাইকে আমরা এক করতে চাই৷ একটি জায়গায় এনে গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে চাই৷''

নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা জাতিসংঘের আছে আবেদন করছি তারা যেন ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে৷ এ কাজটি এগিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে৷''

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘‘আমরা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বে প্রচার চালাচ্ছি৷ যেখানে গণহত্যা হয়েছে বা হচ্ছে সেখানেই আমরা যোগাযোগ করছি৷ সবাইকে এক করা না গেলে বিশ্বে গণহত্যা বন্ধ হবে না, বিচার হবে না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য