1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৭০ ঘণ্টা ধরে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটক ৪০ শ্রমিক

১৫ নভেম্বর ২০২৩

নতুন করে ভূমি ধসের কারণে উদ্ধারকাজে আরো সময় লাগছে। নতুন ড্রিল মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

https://p.dw.com/p/4YodK
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গ
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গছবি: SDRF/AP/picture alliance

উত্তরাখণ্ডে দেরাদুনের কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে ধস নেমেছে। ৭০ ঘণ্টা ধরে সেখানে আটকে অন্তত ৪০ জন শ্রমিক। এখনো তাদের উদ্ধার করা যায়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করার সবরকম চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে বার বার উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। নতুন করে এলাকায় ধস নামায় উদ্ধারকর্মীরা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। নতুন ড্রিল মেশিন নিয়ে এসে নতুন উদ্যমে ফের উদ্ধারের কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার সকালে নির্মীয়মান সুড়ঙ্গটি ধসে পড়ে। সে সময় ভিতরে কাজ করছিলেন অন্তত ৪০ জন শ্রমিক। একটি ২০ মিটারের পাথরের স্ল্যাব সুড়ঙ্গের রাস্তা বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ১৯ মিটারের একটি প্যাসেজ তৈরি করে শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরকাশীর ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক রুহেলা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, সব ঠিক থাকলে বুধবারের মধ্যে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যাবে বলেই তিনি মনে করছেন।

বস্তুত, ড্রিল করে একটি পাইপ ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই পাইপ দিয়েই শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতে পারবেন। মঙ্গলবার সেই পাইপ ঢোকানোর প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গেছিল। কিন্তু নতুন করে ধস নামায় সেই কাজ আটকে যায়। আবার নতুন করে ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু করতে হয়।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাংশু কাপারওয়ান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''উত্তরাখণ্ডে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। ইদানীং প্রায় গোটা বছর ধরেই পাহাড়ে ধস নামতে দেখা যায়। তারপরেও সরকার কেন সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে না। এর আগে জোশীমঠে বিরাট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। এই মুহূর্তে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ বন্ধ করা উচিত।'' পরিবেশবিদদের অনেকেই বলছেন, যেভাবে উত্তরাখণ্ডে পাহাড় কেটে রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে, তা হিমালয়ের চরম ক্ষতি করছে। দ্রুত এই কাজ বন্ধ হওয়া দরকার।

এসজি/জিএইচ