জার্মানরা ম্যার্কেলকে দায়ী করছেন না
৫ আগস্ট ২০১৬বার্লিনভিত্তিক গবেষণা পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফোর্সা' ২৮ ও ২৯ জুলাই এক হাজারেরও বেশি জার্মান নাগরিকের উপর একটি জরিপ করেছে৷ এর মধ্যে ৬৯ শতাংশ ঐ হামলাগুলোর জন্য ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি দায়ী নয়৷
এই দুই হামলার মধ্যে একটি ছিল গত ২৪ জুলাইয়ের৷ সেদিন এক সিরীয় শরণার্থী আন্সবাখ শহরে একটি ফেস্টিভ্যালের বাইরে নিজের শরীরে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান৷ এই ঘটনার কদিন আগে সিরীয় ঐ শরণার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল এবং তাকে বুলগেরিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷
এর ছয়দিন আগে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে আসা ১৭ বছরের এক সঙ্গিহীন শরণার্থী ভ্যুয়র্ত্সবুর্গে একটি ট্রেনে কুড়াল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে আহত করে৷ পরে পুলিশের গুলিতে ঐ ব্যক্তি নিহত হয়৷
তদন্তকারীরা বলছেন, এই দুই হামলার সঙ্গে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সংযোগ আছে৷
গত বছর শুরু হওয়া শরণার্থী সংকটের পর থেকে জার্মানি প্রায় দশ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী নিয়েছে৷ বিশ্লেষকদের ধারণা, এই শরণার্থীদের সঙ্গে আইএস সমর্থনকারী অনেকে ইউরোপে প্রবেশ করে থাকতে পারে৷
ফোরসার জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২৮ শতাংশ জার্মান হামলার জন্য ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতিকে দায়ী করেছেন৷ এর মধ্যে ৭৮ শতাংশই অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি-র সমর্থক৷ শরণার্থী সংকটের পর এই দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ৷
হামলাকারীদের দাফন নিয়ে প্রশ্ন
আন্সবাখ ও ভ্যুয়র্ত্সবুর্গে হামলাকারী দু'জনই মুসলিম৷ তাদের মরদেহ কোথায় এবং কীভাবে দাফন করা হবে তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ৷ ‘সেন্ট্রাল কমিটি অফ মুসলিমস ইন জার্মানি'-র নেতা মোহাম্মদ আবু আল কোমসান জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেছেন, হামলাকারীদের জন্য ইসলামি রীতিতে দাফন নয়, কবরস্থানেও তাঁদের স্থান দেয়া হবে না৷
ক'দিন আগে ফ্রান্সে এক যাজককে হত্যা করা দুই মুসলিম হামলাকারীকে দাফন করতে অস্বীকৃতি জানান সেখানকার মুসলিম নেতারা৷
জেডএইচ/এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স, ডিডাব্লিউ)