ইউরোপে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়বে
৩০ নভেম্বর ২০১৭যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার শতকরা দশ ভাগেরও বেশি হবে মুসলমান৷ পিউ রিসার্চ এ বছরই আরেক প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০৭০ সাল নাগাদ বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বী, অর্থাৎ মুসলমানই সবচেয়ে বেশি থাকবে৷
২০১৫ সালের পর থেকে ইউরোপে ব্যাপক হারে শরণার্থী আসা শুরু হলেও পরবর্তীতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়৷ ফলে শরণার্থীদের আগমন প্রায় বন্ধ৷ কিন্তু পিউ রিসার্চের গবেষকরা বলছেন, তারপরও ইউরোপের অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে এবং সবচেয়ে বেশি বাড়বে মুসলমান৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড – এই ৩০ দেশকে নিয়ে গবেষণাটি করেছে পিউ৷ তারা দেখেছে, ইউরোপে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বাইরের মানুষদের লেখাপড়া বা কাজ করতে বৈধভাবে আসা এবং শরণার্থী – এই তিনভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে৷ ২০১৬ সালে ইউরোপে ছিল ৪ দশমিক ৯ ভাগ মুসলমান৷ ২০৫০ সালে তা বেড়ে হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ৷
জার্মানিতে এ মুহূর্তে মুসলমান আছে শতকরা ৬ ভাগ, ২০৫০ সালে তা বেড়ে হবে মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯ ভাগ৷
এমনিতে মুসলিমদের সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতাও এ মুহূর্তে বেশি, কারণ ইউরোপে মুসলিমদেরই গড় বয়স সবচেয়ে কম৷ মুসলিমদের গড় বয়স এখন ৩০ দশমিক ৪ বছর এবং অমুসলিমদের গড় বয়স ৪৩ দশমিক ৮ বছর৷ ফলে গবেষকরা বলছেন, খ্রিষ্টানদের মাঝে জন্মহার যেখানে ১ দশমিক ৬, মুসলমানদের তা ২ দশমিক ৬ ভাগ৷
মূলত গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে মুসলমানদের আগমনের কারণেই ইউরোপের জনসংখ্যায় এমন প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ হিসেব বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ৭০ লক্ষ অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছে ইউরোপে, যার মধ্যে অন্তত ৩ দশমিক ৪ ভাগরই মুসলমান৷ জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা আনুপাতিকভাবে আরো বেশি৷ ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মোট প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার শরণার্থী এসেছে জার্মানিতে, এর মধ্যে শতকরা ৮৬ ভাগই মুসলমান৷
চেজ ভিন্টার/এসিবি
প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো জানান আমাদের, লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷