1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঐক্যবদ্ধ ইইউ, কোণঠাসা জনসন, ভরসা ম্যার্কেল

২১ আগস্ট ২০১৯

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে আলোচনা করতে বার্লিন যাচ্ছেন৷ এদিকে ইইউ তাঁর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে৷ ফলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3OFWI
লন্ডনে বিক্ষোভকারীদের হাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পুতুল
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/W. Szymanowicz

এখনো অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার প্রচেষ্টা ছাড়তে রাজি নন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আগামী ৩১শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ চান তিনি৷ তবে সেই বিচ্ছেদ চুক্তির মধ্যে রদবদলের যে দাবি তিনি করে চলেছেন, ইউরোপের কোনো নেতা তা মানতে রাজি নন৷ মঙ্গলবার তিনি এই মর্মে যে চিঠি লিখেছিলেন, তার প্রতিক্রিয়া এই প্রশ্নে ইইউ-র অবস্থান আবার স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও হাল না ছেড়ে জনসন বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর সঙ্গে আলোচনা করতে বার্লিন যাচ্ছেন৷

ইইউ দেশগুলির সরকারপ্রধানদের পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থা নিয়ে কোনোরকম আপোশ সম্ভব নয়৷ তিনি ইইউ-র অবস্থান ব্যাখ্যা করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণ এড়াতে অন্য কোনো বিকল্পের অভাবে বিমা হিসেবে ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থা স্থির করা হয়েছিল৷ টুস্ক লেখেন, ‘‘যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা কোনো বাস্তব বিকল্পের প্রস্তাব না দিয়ে বরং সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণের প্রতি সমর্থন দেখাচ্ছে৷ যদিও তারা এ কথা স্বীকার করছে না৷''

জার্মান চ্যান্সেলরও ইইউ-র সম্মিলিত অবস্থান থেকে বিচ্যুতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না৷ অতীতে তিনি বার বার ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ তবে সে বিষয়ে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে তিনি ইইউ দেশগুলির বাকি সরকার প্রধানদের মতোই কোনো বিকল্প পথে বিশ্বাসী নন৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন, পরে কোনো এক সময়ে ইইউ আইরিশ সীমান্তে ‘বাস্তবসম্মত কোনো ব্যবস্থা' কার্যকর করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন৷ তবে বর্তমান বিচ্ছেদ চুক্তিতে কোনো রদবদল সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে ব্রেক্সিটের প্রশ্নে ইইউ নেতাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টায় জনসন কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷ তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের হুমকি দিয়ে গেলেও ইইউ কোনোরকম আপোশের লক্ষণ দেখাচ্ছে না৷ মঙ্গলবার তাঁর চিঠি সত্ত্বেও ইইউ-র কড়া অবস্থানের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রশ্নে ইইউ একটু নেতিবাচক অবস্থান দেখাচ্ছে বটে, তবে তা সত্ত্বেও বোঝাপড়া সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করেন৷

ইউরোপের কূটনৈতিক মহল প্রধানমন্ত্রী জনসনের হম্বিতম্বিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে আগামী ৩রা সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সংসদের অধিবেশনের দিকে নজর রাখছে৷ বিরোধী লেবার পার্টি জনসনের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনলে তার পরিণাম কী হয়, তা জানার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে৷ তাছাড়া চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে সংসদ সদস্যরা অন্যান্য উদ্যোগও নিতে চান৷ ব্রিটিশ রাজনীতির এমন উত্তাল পর্যায়ে বরিস জনসন আদৌ ক্ষমতায় টিকতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে৷ ফলে ইউরোপ সফরে তাঁর দরকষাকষির ক্ষমতা ঘরে-বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়ছে৷ জনসন আদৌ কোনো সমাধানসূত্র চান, না কি ব্রেক্সিটকে ঘিরে তাঁর ব্যর্থতার দায় পুরোপুরি ইইউ-র উপর চাপিয়ে দিতে চান, অনেকে সেই সন্দেহও প্রকাশ করেছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)