ওলাফ শলৎস কি নোংরা প্রচারণার শিকার?
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১সোমবার শলৎসকে কয়েকজন সাংসদদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল৷ গত ৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ৷ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট' বা এফআইইউর বিরুদ্ধে চালু থাকা এক তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়৷
অসনাব্রুক শহরের পাবলিক প্রোসিকিউটর এই তদন্ত চালাচ্ছেন৷ অসনাব্রুকের একটি ব্যাংক আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে ১৭ কোটি টাকার বেশি পাঠানোর বিষয়টি এফআইইউকে জানিয়েছিল৷ কিন্তু এফআইইউ সেই বিষয়টি পুলিশ কিংবা পাবলিক প্রোসিকিউটের কাছে পাঠায়নি৷ এই না পাঠানোর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷
এই তদন্তের অংশ হিসেবে এফআইইউ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিনিময় হওয়া ইমেল সংগ্রহ করতে ঐ পুলিশি অভিযান চালানো হয়৷ এই অভিযানের ব্যাপারে অসনাব্রুকের পাবলিক প্রোসিকিউটর অফিস থেকে একটি প্রেস রিলিজ ইস্যু করা হয়৷ তাতে এমন ধারণা দেয়া হয় যে, ওলাফ শলৎসের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে৷
উল্লেখ্য, এফআইইউ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত একটি সংস্থা৷
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?
পুলিশের অভিযান সম্পর্কে জানতে জার্মান সংসদের ফাইন্যান্স কমিটি সোমবারের বৈঠকটি ডেকেছিল৷ মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি, বাম ও সবুজ দল এই বৈঠকের অনুরোধ করেছিল৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দল খুশি মনে এই অনুরোধ গ্রহণ করেছে বলে মনে হয়েছে৷
এসপিডি মনে করছে আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার নির্বাচনের কিছুদিন আগে এই অভিযান চালানোর বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ এর পেছনে সিডিইউর হাত আছে বলে তারা মনে করছে৷ তাদের এমন ধারণার কারণ, সবশেষ জরিপ বলছে রোববারের নির্বাচনে সিডিইউর চেয়ে এসপিডি কয়েক শতাংশ ভোট বেশি পাবে৷
তাছাড়া অসনাব্রুকের পাবলিক প্রোসিকিউটর কার্যালয়ের যিনি প্রধান তিনি একসময় লোয়ার সাক্সোনি রাজ্যের একটি শহরের সিডিইউর প্রধান ছিলেন৷ একই সময়ে তিনি ঐ রাজ্যে বিচার মন্ত্রণালয়ের অফিস ম্যানেজার ছিলেন৷ বর্তমানে তিনি লোয়ার সাক্সোনি রাজ্য সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন৷
সাবিনে কিনকার্ৎস/জেডএইচ