কৃষকদের পণ্য বিক্রির স্বাধীনতা বাড়াতে হবে
২৯ নভেম্বর ২০১৬কৃষিকাজের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ আশা জাগানোর মতো ব্যাপার৷ কৃষি প্রধান বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে গেলে এর বিকল্প নেই৷ শুধু শহরমুখী স্রোত কিছুটা হলেও কমতে পারে যদি কৃষিকাজকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়৷ কৃষককে সহায়তা করা যায় তাঁর কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতে৷
বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে কাজটি বেশ সহজ, কেননা, মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাচ্ছে দ্রুত, ইন্টারনেট সংযোগও বলতে গেলে বাংলাদেশের সর্বত্র সহজলভ্য৷ কোন অঞ্চলে কোন কৃষিপণ্যের ফলন বেশি আর কোথায় তার চাহিদা বেশি সেই তথ্য কৃষকের কাছে স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে পৌঁছানো গেলে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যেতো তাঁর কাছে৷ সেক্ষেত্রে মধ্যসত্ত্বভোগীদের বিপুল মুনাফা অর্জনের পথও কিছুটা কমতো৷
আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য কিছু অ্যাপ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে৷ ‘কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার' নামে বাংলা ভাষায় একটি অ্যাপ তৈরি করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি)৷ এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ‘বারি'কতৃক উদ্ভাবিত ফসলের চাষ, রোগবালাই নিরাময় ও সার ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন তথ্য সহজে পাওয়া যাবে৷ এরকম অ্যাপ আরো কয়েকটি রয়েছে৷
তবে বাংলাদেশের কৃষকদের পণ্য বিক্রির জন্য সুবিধাজনক অ্যাপের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি৷ পশ্চিমা কৃষিকদের কাছে জনপ্রিয় এরকম একটি অ্যাপের নাম ‘এজিমোবাইল৷' এটি কৃষককে তাঁর কৃষিপণ্য ন্যয্যমূল্যে বিক্রির জন্য উপযুক্ত বাজারের সন্ধান দেয়৷ পাশাপাশি আবহাওয়াসহ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন হালনাগাদ তথ্যও পাওয়া যায় অ্যাপটি থেকে৷ এরকম অ্যাপ বাংলাদেশের কৃষকদেরও সহায়তা করতে পারে৷
কেউ কেউ হয়ত বলবেন, কৃষকরা অ্যাপ ব্যবহারের মতো শিক্ষা কোথা থেকে পাবেন? এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকায় থাকতে হবে তরুণ প্রজন্মকে৷ বর্তমানের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে দেখতে বড় হচ্ছে৷ তাদের তাই আলাদা করে মোবাইল ব্যবহার বা অ্যাপ ইন্সটল করা শেখাতে হয়না৷ এ সব যাদের দরকার, তাদের সহায়তা করতে পারে তরুণ প্রজন্ম৷