'গণতন্ত্র বাঁচাও' সমাবেশে শলৎস ও বেয়ারবক
১৫ জানুয়ারি ২০২৪বার্লিন ও পটসডামে এই সমাবেশ হয়। এই সমাবেশের আওয়াজ ছিল, 'গণতন্ত্র বাঁচাও'। সম্প্রতি অনুসন্ধানী মিডিয়া সংস্থা কারেকটিভ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অতি-দক্ষিণপন্থিরা সম্প্রতি পটসডামে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে এএফডিপার্টির সদস্যরাও যোগ দেন। অভিবাসীদের কী করে জার্মানি থেকে জোর করে নিজেদের দেশে পাঠানো যায়, তানিয়ে আলোচনা হয়।
বার্লিনের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের মতো অনেকগুলি গোষ্ঠী। সেখানে তারা ওই গোপন বৈঠকের বিরোধিতা করেছেন। পুলিশ এখনো জানায়নি, কতজন এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। তবে সংগঠকদের দাবি, ২৫ হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে সামিল হন।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই হাজার চারশ মানুষ ডুইসবার্গে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
গণতন্ত্রের জন্য পথে
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও গ্রিন পার্টির নেত্রী বেয়ারবক পটসডামের বিক্ষোভে অংশ নেন।
বর্তাসংস্থা ডিপিএ-কে বেয়ারবক বলেছেন, ''স্থানীয় মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ও পুরনো ও নতুন স্বৈরচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন।''
এএফডি নেতারা যে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে অস্ট্রিয়ার নব্য-নাৎসী নেতা মার্টিন সেলনার দাবি করেছেন, অভিবাসীদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে এবং তারপর তাদের ডিপোর্টেশন বা নিজেদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
এএফডি নেতৃত্ব অবশ্য এই বৈঠকের থেকে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। তাদের দাবি, এফডি-র যে সদস্যরা বৈঠকে যোগ দিয়োছিলেন, তারা দলের প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে যাননি। গিয়েছিলেন ব্যক্তিগতভাবে। তারা যে মন্তব্য বা মতপ্রকাশ করেছেন, তা দলের নয়।
এএফডির ভবিষ্যৎ
এএফডি-র জনপ্রিয়তা কি বাড়তে থাকবে, নাকি ভোটে তারা পরাজিত হবে? জার্মানিতে এই প্রশ্ন উঠছে।
আগে বলা হচ্ছিল, এএফডি হলো পূর্ব জার্মানিতে সীমাবদ্ধ একটি দল, তারা সংখ্যালঘু ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু গঠিত হওয়ার ১১ বছর পরে এই দল এখন সারা দেশে ভালো ভোট পাচ্ছে।
ওপিনিয়ন পোল বা মতামত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, তারা জার্মানিতে দ্বিতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সিডিইউ-র পরেই তাদের স্থান। তারা বর্তমান জোটের দল এসপিডি, গ্রিন ও এফপিডি-র থেকে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে।
এই দলকে নিষিদ্ধ করার জন্য সাম্প্রতিককালে দাবি উঠেছে। তবে এই ঘোষণা করার জন্য যে কঠিন সাংবিধানিক ও আইনগত বাধার মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া এই ধরনের কাজ করলে এএফডিও এটা বলার সুয়োগ পাবে যে, তারা সরকারের চক্রান্তের শিকার।
যারা এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তারা বলেন, এএফডিকে নির্বাচনে হারাতে হবে এবং বিতর্কে পরাস্ত করতে হবে।
জর্মানিতে ভোটদাতারা আগামী গ্রীষ্মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে তাদের মতপ্রকাশের সুযোগ পাবে। এই রাজ্যগুলি বেশিরভাগ পূর্ব জার্মানিতে, যেখানে এএফডির শক্তি বেশি। জাতীয় স্তরেও তারা ভালো ফল করতে পারে।
জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, এএফপি)