গুলশান হামলা: ব্রিটিশ নাগরিক গ্রেপ্তার
৪ আগস্ট ২০১৬গত পহেলা জুলাই গুলশানে এক স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে বিশ ব্যক্তি নিহত হন, যাঁদের মধ্যে সতেরজন ছিলেন বিদেশি নাগরিক৷ আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট' সেই হামলার দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হামলাটি পরিচালনা করেছিল৷
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই জঙ্গি হামলার সময় হামলাকারীরা কয়েকজনকে জিম্মি করলেও পরবর্তীতে তাঁদের ছেড়ে দেয়৷ তবে ছেড়ে দেয়াদের মধ্যে দু'জনকে সেসময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়৷ কিন্তু তাসত্ত্বেও তাঁদের পরিবার তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না৷ গণমাধ্যমের পক্ষ থেকেও তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ ফলে পুরো বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়৷
ঢাকা পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হাসনাত করিম এবং টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ খানকে বুধবার রাতে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশের মুখপাত্র একেএম শহিদুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত করছি যে ৫৪ ধারায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷'' আইনের এই ধারায় অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে পুলিশ যে কাউকে আটক করতে পারে৷
এদিকে, বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের পার্টনার বাংলাট্রিবিউন জানিয়েছে, ‘‘হলি আর্টিজানে হামলার পর একজন কোরিয়ান নাগরিকের গোপনে ধারণ করা ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর হাসনাত করিম ও তাহমিদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে৷ হলি আর্টিজানের জিম্মি ঘটনায় তাকে (করিম) জঙ্গিদের কয়েকজনের সঙ্গে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে হাঁটতে ও কথা বলতে দেখা গেছে৷''
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে পুলিশ ক্যানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীকে গুলশান হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী' হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁকে গ্রেপ্তারে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারলে পঁচিশ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে৷