ঘণ্টায় ১৮ জন শিশুর এইচআইভি
১ ডিসেম্বর ২০১৭এর মধ্যে ২১ লক্ষ কিশোর-কিশোরী এইচআইভি নিয়ে বসবাস করেছে৷ ২০০৫ সালের তুলনায় সংখ্যাটি ৩০ শতাংশ বেশি৷ ১৪ বছরের কমবয়সি প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার কিশোর-কিশোরী গত বছর এইডস সংক্রান্ত কারণে প্রাণ হারিয়েছে৷
শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে ‘২০১৭ ইউনিসেফ স্ট্যাটিসটিক্যাল আপডেট অন চিলড্রেন অ্যান্ড এইডস' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷ প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ-এর এইচআইভি বিষয়ক প্রধান ডা: চেউই লু বলেন, ‘‘এইডস মহামারি শেষ হয়ে যায়নি৷ শিশু ও তরুণদের জন্য এটি এখনও হুমকি হয়ে আছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘এইডসের কারণে এত শিশুর মারা যাওয়া ও এইচআইভির সংক্রমণ থেকে তরুণদের রক্ষার বিষয়ে অগ্রগতি সামান্য হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়৷''
ইউনিসেফ বলছে, এইডসের কারণে মারা যাওয়া কিশোর-কিশোরীদের প্রায় সবাই সাব-সাহারা আফ্রিকার বাসিন্দা ছিল৷ এছাড়া বিশ্বব্যাপী কিশোরদের চেয়ে কিশোরীদের মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি৷
তবে গর্ভবতী মায়েদের শরীর থেকে নবজাতকের দেহে এইচআইভি সংক্রমণের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ৷ ফলে ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ নতুন সংক্রমণ এড়ানো গেছে৷
জাতিসংঘের আরেক পরিসংখ্যান বলছে, এইডস সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে৷ ২০০৫ সালে ১৯ লক্ষ মানুষ এইডসের কারণে মারা গিয়েছিল৷গত বছর সংখ্যাটি ছিল প্রায় ১০ লক্ষ৷
ইউএনএইডস বলছে, ১৯৮১ সালে মহামারি আকারে এইডস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ মারা গেছে৷
নতুন গবেষণা শুরু
এদিকে, এইচআইভির নতুন ভ্যাকসিন ও নতুন ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে আফ্রিকায় দুটি বড় আকারের গবেষণা কার্যক্রম শুরু করছেন গবেষকরা৷ বৃহস্পতিবার তাঁরা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন৷ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২,৬০০ নারীর উপর তিন বছর ধরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তাঁরা৷
জেডএইচ/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন, রয়টার্স, এএফপি)
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷