‘এইডস' দিয়ে ৭১ হাজার ইউরো জরিমানা
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ২০১২ সালে পরিচয় হয় ওই নারীর৷ শয্যায় যাওয়ার আগে ওই নারী এইচআইভি পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন৷ পুরুষ বন্ধুটি তখন সাধারণ মেডিকেল রিপোর্ট দেখিয়ে দাবি করেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ৷ তাতে কিছুটা আশ্বস্ত হলেও মনে খটকা ছিলই, কেননা, ওই নারী জানতেন, ভদ্রলোকের আগের পার্টনার এইডসে মারা গেছেন৷ তা সত্ত্বেও প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি৷ আর তারই খেসারত দিতে হয় তাঁকে৷ দুই দেহের মিলনের কয়েক মাস পরই পরীক্ষা করিয়ে সেই নারী জানতে পারেন, তাঁর দেহেও বাসা বেঁধেছে ভয়ংকর হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস, অর্থাৎ এইচআইভি৷
তারপরই মামলা৷ মামলার রায় হতে হতে সেই নারীর বয়স হয়ে গেছে ষাট৷ তবু সান্ত্বনা, আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছে৷
মামলায় শরীরে এইচআইভি সংক্রমণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ইউরো দাবি করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ নারী৷ কিন্তু গত বুধবার মিউনিখের আদালত আসামিকে ৭১ হাজার ইউরো, অর্থাৎ ৭৫ হাজার ডলার জরিমানা করেছে৷ এই পরিমাণ অর্থ তো পাবেনই, সঙ্গে এতদিন মামলা চালাতে যে খরচ হয়েছে, তা-ও পাবেন সাময়িক সুখ পেতে গিয়ে সারা জীবনের জন্য দুরারোগ্য এক ব্যাধিকে বরণ করে নেয়া ওই নারী৷
জনসচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বাড়লেও জার্মানিতে এখনো অনেকেই নানাভাবে এইচআইভি-তে সংক্রমিত হচ্ছেন৷ ২০১৫ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, তখন জার্মানির অন্তত ৮৪ হাজার ৭০০ মানুষের দেহে এইচআইভি ভাইরাস ছিল৷
এসিবি/জেডএইচ (ডিপিএ)