শিশুদের কথা গোপনে শোনার ঘড়ি
২১ নভেম্বর ২০১৭শিশুদের ব্যবহার উপযোগী নির্দিষ্ট কিছুস্মার্টওয়াচ আর জার্মানির বাজারেবিক্রি সম্ভব হবে না৷ যেসব ঘড়িতে ‘ওয়্যারটেপিং'-এর সুবিধা আছে, সেসব ঘড়ি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে বলে শুক্রবার জানিয়েছে একটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ৷
জার্মানির কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক এজেন্সি বা ‘বুন্ডেসনেৎসআগেনটুয়ার' এই নিষেধাজ্ঞা কারণ হিসেবে জানিয়েছে যে, ঘড়িগুলোকে ‘আনঅথরাইজড ট্রান্সমিটারের' ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়৷ অর্থাৎ কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই এগুলোর মাধ্যমে নিরবে কথাবার্তা শোনা সম্ভব৷
বুন্ডেসনেৎসআগেনটুয়ার-এর প্রেসিডেন্ট ইওখেন হোমান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তে দেখা গেছে, অভিভাবকরা এ সব ঘড়ি ব্যবহার করে, উদাহরণস্বরূপ, সন্তানদের ক্লাসরুমে শিক্ষকদের কথাবার্তা শোনে৷''
নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষটি আরো জানিয়েছে যে, জার্মানির বাজারে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সিদের জন্য ব্যবহার উপযোগী অনেক স্মার্টওয়াচ রয়েছে৷ পাশাপাশি তারা অভিভাবকদের এ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেছে এবং বাসায়ও সেগুলো রাখতে নিষেধ করেছে, কেননা এটি আইনত অবৈধ৷
কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছে যে, টেলিফোন ফিচারযুক্ত ঘড়ি সাধারণভাবে ব্যবহার করা জার্মানিতে নিষিদ্ধ নয়৷ তবে সেসব ঘড়িতে যদি সিমকার্ড থাকে এবং ‘‘বেবি ফোন ফাংশন'', ‘‘ওয়ান-ওয়ে কনভারসেশন,'' বা ‘‘ভয়েস মনিটরিং''-এর মতো ফিচার থাকে, তাহলে সেগুলো বেআইনি হিসেবে বিবেচিতি হবে৷
তদন্তে দেখা গেছে, কিছু থাকা মাইক্রোফোন অভিভাবকরা দূর থেকে নিরবে চালু করতে পারেন৷ ফলে যিনি ঘড়ি পরেছেন বা যাঁরা আশেপাশে কথা বলছেন, তাঁরা বুঝতেও পারবেন না যে তাঁদের কথাবার্তা তৃতীয় কোনো পক্ষ শুনছে৷ বলা বাহুল্য, এ ধরনের ফিচারযুক্ত ‘ডিভাইস' জার্মানিতে ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ৷
উল্লেখ্য, গতবছর ‘‘মাই ফ্রেন্ড কেইলা'' নামের একটি খেলনার পুতুলও একইরকম কারণে নিষিদ্ধ করে জার্মানি৷ পুতুলটির সঙ্গে খেলনাটির কথাবার্তা রেকর্ড হতো, যা হ্যাকাররা চুরি করে ক্ষতিকর কাজে ব্যবহারের সুযোগ ছিল৷
এআই/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)