চ্যান্সেলর হবার বিষয়ে আরো আশাবাদী শলৎস
১৬ নভেম্বর ২০২১জার্মানিতে সেপ্টেম্বর মাসের নির্বাচনের পর সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, উদারপন্থি এফডিপি ও পরিবেশবাদী সবুজ দল সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ করোনা সংকটের চাপে এই তিন দলকে এমনকি সরকার গড়ার আগেই সংসদে আইনের খসড়া পেশ করতে হচ্ছে৷ তিন সম্ভাব্য শরিক দল এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সূচি মেনে চলায় ৬ই ডিসেম্বর নাগাদ এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিতে পারেন, এমন সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷
গোপনীয়তার বেড়াজালের অঙ্গীকারের কারণে তিন দলের নেতারা ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন' গড়ার লক্ষ্যে আলোচনার খুঁটিনাটী বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না৷ তবে সোমবার জার্মানিপ ‘স্যুডডয়তে সাইটুং' সংবাদপত্র আয়োজিত এক নৈশভোজে শলৎস নিজে জানিয়েছেন, যে আলোচনা খুবই ভালোভাবে এগোচ্ছে৷ অত্যন্ত গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে আলোচনা চলছে৷ ফলে চলতি মাসের শেষের মধ্যেই কোয়ালিশন চুক্তির খসড়া তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷
সম্ভাব্য জোট সরকারের তিন শরিক দল একাধিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, সেই বিশাল উদ্যোগ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ বিশেষ করে এফডিপি দল করের বোঝা বাড়ানো ও ঋণের অনুমোদিত মাত্রা অতিক্রম করার ঘোর বিরোধিতা করায় এ বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ ওলাফ শলৎস সেই সংশয়ের কোনো কারণ দেখছেন না৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোয়ালিশন চুক্তিতে উল্লিখিত লক্ষ্য পূরণ করতে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না৷ কর বাবদ রাজস্ব বাড়ার পূর্বাভাস ও আগামী কয়েক বছরে জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এ ক্ষেত্রে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে তিনি মনে করেন৷ এ প্রসঙ্গে শলৎস মনে করিয়ে দেন, যে করোনা সংকট সত্ত্বেও জার্মানিকে তেমন বাড়তি ঋণ নিতে হয় নি, যেমনটা আর্থিক সংকট মোকাবিলার সময় ঘটেছিল৷
জার্মানির চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সরকারের তিন শরিক দল শুরু থেকেই সংসদে বিতর্কের উপর জোর দিচ্ছে৷ গত সপ্তাহেই সংক্রমণ সুরক্ষা আইনে পরিবর্তনের প্রাথমিক খসড়া পেশ করার পর আগামী বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক চাইছে তারা৷ এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস এ প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু পেশার জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে বিতর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাবার কোনো অবকাশ নেই৷ তবে একমাত্র ঐকমত্যের ভিত্তিতেই আদৌ এমন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব বলে শলৎস মনে করেন৷ সংক্রমণ সুরক্ষা আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রাসঙ্গিক বলে তিনি মনে করেন৷
এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)