1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ান নিয়ে চীন-চেক রাজনীতি

৩১ আগস্ট ২০২০

তাইওয়ানে বিশাল আকারের প্রতিনিধি দল পাঠালো চেক রিপাবলিক। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক।

https://p.dw.com/p/3hmmE
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Amaral

হংকংয়ের পর এ বার তাইওয়ান। চীনের অস্বস্তি আরও বাড়ল। রোববার চেক রিপাবলিকের ৯০ জনের সরকারি প্রতিনিধি দল তাইওয়ান পৌঁছেছে। কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়িক আলোচনার জন্যই ইউরোপের ওই প্রতিনিধি দল তাইওয়ান গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্বভাবতই চেক রিপাবলিকের এ হেন সফরকে কটাক্ষ করেছে চীন। তাদের বক্তব্য, চীনকে অন্ধকারে রেখে তাইওয়ানে চেক সরকারের এমন সফর অনভিপ্রেত। এর ফলে চেকের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খারাপ হবে বলেও চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

করোনা-কালে চেক রিপাবলিকের তাইওয়ান সফর নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতেও যথেষ্ট আলোচনা শুরু হয়েছে। এই প্রথম ৯০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে চেক রিপাবলিকের সরকারি দল তাইোয়ান পৌঁছেছে। সরকারি স্তরে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, চেক রিপাবলিকের সেনেটের প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানের পার্লামেন্টে বক্তৃতাও করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়, বাণিজ্য স্তরেও একাধিক বৈঠক হবে।

Taiwan Tschechische Delegation in eingetroffen
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Lopes Amaral

১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ানে স্বাধীন সরকার রয়েছে। কিন্তু চীন তাইওয়ানকে স্বাধীন বলে মনে করে না। চীনের দাবি, তাইওয়ানের উপর চীনের রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক অধিকার আছে। এ নিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। তবে হংকংয়ের মতো তাইওয়ানের উপর এখনও পর্যন্ত বলপ্রয়োগ করতে পারেনি চীন। যদিও চীন মনে করে, প্রয়োজনে তাইওয়ানেও বলপ্রয়োগ করার সুযোগ তাদের আছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ আলাদা করে তাইওয়ানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলে তা ভালো চোখে দেখে না চীনের সরকার। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাসেম্বলিতে তাইওয়ান নিয়ে অ্যামেরিকা এবং চীনের দ্বৈরথ সামনে এসেছিল। অ্যামেরিকা তাইওয়ানকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ায় চীন তার প্রতিবাদ করেছিল। পাল্টা আক্রমণ করেছিল অ্যামেরিকা। তারপরই চেক রিপাবলিকের এই কাজে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন।

ভেলভেট বিপ্লবের পর ১৯৮৯ সালে স্বাধীন সরকার গঠন হয় চেক রিপাবলিকে। তার আগে দেশটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম তাইওয়ানে এত বড় প্রতিনিধি দল পাঠাল চেক রিপাবলিক। তাইওয়ানের সঙ্গে চেকের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে চেকের ব্যবসায়িক সম্পর্ক বহুদিনের। বস্তুত, তাইওয়ানে অর্থ ব্যয়ের নিরিখে চেক হলো ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাজ্যের পরেই।

Taiwan Tschechische Delegation in eingetroffen
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Lopes Amaral

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা-কালে বিশ্ব রাজনীতিতে বহু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে। একদিকে চীন এবং অন্য দিকে চীন বিরোধী ব্লক তৈরি হতে শুরু করেছে। চীনও হংকংয়ে শক্তি প্রয়োগ করছে। যা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক এবং কূটনীতিক খেলা শুরু হয়েছে। চীন কী ভাবেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে, সেটাই এখন দেখার। চীন চেক রিপাবলিকের তাইওয়ান সফরকে যতই কটাক্ষ করুক, তাইওয়ান এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছে।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ)