ইয়াজিদি হত্যা চলছেই: জাতিসংঘ
৪ আগস্ট ২০১৭জাতিসংঘের যে কমিটিটি সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করছে, তারা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের ইয়াজিদিদের ওপর চলা নৃশংসতার দিকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে৷
এক বিবৃতিতে, বর্তমান সময়ের দাসপ্রথা নিয়ে কাজ করা ওএইচসিএইচআর কমিশন বলেছে, ‘‘সেখানে গণহত্যা চলছে, অথচ সবাই চুপ৷ রাষ্ট্রপক্ষ এই সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, যা স্পষ্টত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন৷''
ইয়াজিদিদের হাজার বছরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থাকলেও আইএস তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখে৷ জঙ্গিরা হাজারো ইয়াজিদিকে হত্যা ও অপহরণ করেছে৷ অনেকেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন৷
২৩ বছর বয়সি পার্ভিন আলি বাকু নামের এক ইয়াজিদি নারী তাঁর তিন বছরের মেয়েসহ জঙ্গিদের হাতে দু'বছর ধরে আটক ছিলেন৷ সম্প্রতি তিনি পালিয়ে আসতে সমর্থ হন৷ এখন তাঁর ঠাঁই হয়েছে ইরাকের এক শরণার্থী শিবিরে৷ ‘‘আমার কিছুই ভালো লাগে না৷'' বলছিলেন তিনি৷ ‘‘সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্য আছি৷''
তিন বছর পরও হাজারো ইয়াজিদি পুরুষের কোনো খোঁজ নেই৷ এখনো প্রায় তিন হাজার ইয়াজিদি নারী আটক৷ তাদের প্রতিদিন ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতন করা হয়৷ জাতিসংঘ কমিশন এমনও তথ্য পেয়েছে যে, রাকায় এই মেয়েদের অনেককেই বিক্রিও করা হয়৷ আইএস নির্মূলের পাশাপাশি এই মেয়েদের উদ্ধার ও এসব অপরাধের বিচারের দাবি জানিয়েছে কমিশন৷
উত্তর ইরাকের সিনজার ও তার আশেপাশে আগে প্রায় চার লাখ ইয়াজিদি থাকতেন৷ এ সব এলাকা আইএসমুক্ত হলেও এখন মাত্র এক হাজার ইয়াজিদি পরিবার ফিরে এসেছে৷
এর কারণ, আইএসকে বিতাড়িত করার পর এখন এলাকার দখল নেবার জন্য কুর্দি ও শিয়ারা লড়ছে৷ তাই এসব এলাকায় উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি৷
‘‘এলাকাটি পুন:সংস্কার না করলে এবং রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না করলে ওদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে৷'' রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন সিনজার মেয়র অফিসের পরিচালক জালাল খালাফ৷
সামান্থা আর্লি/জেডএ