তুরস্ককে গ্রিসের হুমকি
১১ আগস্ট ২০২০গত মাসেও গ্রিস আর তুরস্কের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল৷ তুরস্ক গ্রিস সংলগ্ন রোডস, কারপাথোস এবং কাস্টেলপারিসো দ্বীপের কাছে গবেষণার জন্য জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিলে ন্যাটোর দুই সদস্য দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে৷ তেল এবং গ্যাস উত্তোলনের জন্য গবেষণার কথা বলে জাহাজ পাঠিাতে চেয়েছিল তুরস্ক৷ গ্রিস তাদের তেল এবং গ্যাসের লাভ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে- তুরস্কের এমন অভিযোগে অস্বীকার করে গ্রিস তখন তুরস্কের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে৷
জবাবে তুরস্ক দাবি করে, তারা নিজেদের জলসীমাতেই ওরুচ রেইস নামের জাহাজ পাঠাবে এবং তাতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কোনো সম্ভাবনা নেই৷ পরে গ্রিসের অনড় অবস্থান এবং যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশের নিন্দার মুখে জাহাজ পাঠানো সাময়িকভাবে স্থগিত রাখেন এর্দোয়ান৷
কিন্তু গত সপ্তাহে লিবিয়ায় তুরস্কের প্রতিপক্ষ মিশরের সঙ্গে গ্রিস সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর দৃশ্যপট বদলে যায়৷ তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয় ‘তথাকথিত সমুদ্রচুক্তি’ কার্যকারিতা হারিয়েছে৷
তারপর কাস্টেলোরিসোর কাছে জাহাজ পাঠিয়ে তেল এবং গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করে তুরস্ক৷ গ্রিস মনে করছে এর মাধ্যমে এর্দোয়ান সরকার ‘শান্তিকে হুমকিতে ফেলছে’৷ সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, আঙ্কারার এ সিদ্ধান্ত ‘নতুন করে উত্তেজনা বাড়ানোর’ প্রয়াস৷ পাশাপাশি গ্রিস ‘‘সার্বভৌমত্ব এবং সার্বভৌম অধিকার রক্ষা করবে’’ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
আলোচনার আহ্বান
এদিকে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস বিষয়টি নিয়ে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল এবং ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলেনবার্গের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ দু পক্ষের প্রতি আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন স্টোলেনবার্গ৷
এসিবি/ কেএম (এএফপি, ডিপিএ)