1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দ্য নেক্সট স্টিভ জবস’

৩ নভেম্বর ২০১৩

স্টিভ জবস চলে যাওয়ার পর তাঁর অনুপস্থিতিটা অনুভব করছে প্রযুক্তি বিশ্ব৷ মনে মনে যে জবসের মতো আরেকজনকে খুঁজছেন সবাই, সেটা বোধ হয় বলাই যায়৷ ১২ বছরের পালোমা নোয়োলা কি সেটা হতে যাচ্ছেন?

https://p.dw.com/p/1AAc0
Twelve years old Paloma Noyola listens to instructions during a two-day National Mental Math Calculation Championships at the Technologic of Monterrey campus, in Mexico City, on October 28, 2013. AFP PHOTO/Alfredo Estrella (Photo credit should read ALFREDO ESTRELLA/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images/Afp/Alfredo Estrella

সপ্তাহ দুয়েক আগে মার্কিন ‘ওয়ার্ড' ম্যাগাজিনের কাভারে মেক্সিকোর নোয়োলার ছবি ছাপা হয়৷ শিরোনামে লেখা হয় ‘দ্য নেক্সট স্টিভ জবস'৷ এরপরই এই কিশোরীকে নিয়ে মেক্সিকোতে হৈচৈ পড়ে যায়৷ খবরের কাগজের সাংবাদিক আর চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন নোয়োলা৷

গত বছর মেক্সিকোর জাতীয় পর্যায়ের এক গণিত পরীক্ষায় নোয়োলা সর্বোচ্চ ৯২১ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন৷

ওয়ার্ড ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অবশ্য নোয়োলার চেয়ে তাঁর শিক্ষক ৩২ বছরের সার্জো হুয়ারেজ কোরেয়ার শিক্ষাদান পদ্ধতির উপর বেশি আলোকপাত করা হয়েছে৷ কেননা এর ফলে কোরেয়ার শিক্ষার্থীরা স্প্যানিশ আর গণিতে বেশ ভালো নম্বর পাচ্ছে৷ যেমন নোয়োলা যে পরীক্ষায় ৯২১ নম্বর পেয়েছে, সেটাতেই ৯০০-র ওপর নম্বর পেয়েছিল নোয়োলারই নয় সহপাঠী৷

বার্তা সংস্থা এএফপিকে কোরেয়া বলেছেন, তিনি যে পদ্ধতিতে শিক্ষা দেন তার অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছেন ব্রিটেনের নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুগত মিত্রের ‘মিনিমালি ইনভেসিভ এডুকেশন' ধারণা থেকে৷

এই শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে নিজেদের কিউরিওসিটি বা ঔৎসুক্য এবং স্বশিক্ষা কাজে লাগায়৷

নোয়োলা সম্পর্কে কোরেয়ার মন্তব্য, ‘‘সে যদি স্টিভ জবসের মতো সুযোগ পেত তাহলে সে তার বিষয়ে একজন জিনিয়াস হতো৷'' এ কথার মাধ্যমে কোরেয়া আসলে নোয়োলা যে পরিবেশে লেখাপড়া করছে, সেটা তুলে ধরেছেন৷

মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে মাতামোরোস শহরে নোয়োলার স্কুল অবস্থিত৷ এলাকাটা কুখ্যাত ড্রাগ কার্টেলদের জন্য৷ অঞ্চলটা এতটাই অপরাধপ্রবণ যে সেখানে চাকরি করতে যেতে চান না কোনো শিক্ষক৷ এছাড়া স্কুলে নেই পানির ব্যবস্থা, নেই কোনো টেলিফোন সংযোগ৷ সার্বক্ষণিক বিদ্যুতও নেই নোয়োলার স্কুলে৷ মেক্সিকোর বেশিরভাগ স্কুলেরই অবশ্য এই অবস্থা৷

এমন পরিবেশে লেখাপড়া করা নোয়োলার কাহিনিটা তাই আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বৈকি!

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য